অসীম কুমার বৈষ্ণব, সুনামগঞ্জ: কুশিয়ারা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকার মানুষেরা মাঝে চরম হতাশা ও সর্বস্বান্ত হারানোর ভয় দেখা দিয়েছে।
ইতোমধ্যে ভয়াবহ এই ভাঙনে শাল্লার ভেড়াডহর গ্রামের ২০-৩০ টি বসতবাড়ি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে আরও অনেকগুলো বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। অনেকেই ইতোমধ্যে তাদের বসতবাড়ি বিলীন হওয়ার শংকায় অন্যত্র বাড়িঘর স্থাপন করে নিয়েছে।
জানা যায় বসতবাড়ি, ফসলি জমির ভাঙন রোধে বেশ কয়েক বছর আগে সরকার পিআইসিকে কয়েক কোটি টাকা প্রকল্পের অনুমোদন দেয় যাতে ভেড়াডহর হতে মুছাপুরের ফেরি ঘাট পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা চিহ্নিত করে বোল্ডার ফেলা হয় এবং যেসব জায়গায় বোল্ডার ফেলা হয়েছিল বর্তমানে সেসব স্থানে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে নতুন করে হতাশার চাপ দেখা দিয়েছে।উল্লেখ্য প্রতাপপুরের বাজারটি প্রায় ভাঙনে শেষের অবস্থায়।
তবে ভাঙনের সর্বোচ্চ রেকর্ড বর্তমানে দেখা দিয়েছে। ক্রমাগত ভাঙনের ফলে বসতভিটা ও ফসলি জমিগুলো এখন নদী গর্ভে বিলীনের পথে। এসব এলাকার অনেক মানুষই বললেন, তাদের কারো বসতভিটা অনেক আগেই নদীর অতল গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে আবার অনেকের হারোনোর পথে। কারোর জমি ভাঙতে ভাঙতে অপর পারে পৌঁছে গেছে আবার কারোর ফসলি জমি নতুন করে ভাঙছে।
উল্লেখ্য, শাল্লার এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষই কৃষক, জেলে, খেটে খাওয়ার মানুষ ।তাই বর্তমানে নদীর ভয়াবহ ভাঙনে জমি হারিয়ে অনেকেই নিঃস্ব, সর্বস্বান্ত।তাদের ভাষ্য মতে, পৈতৃক জমিটুকু হারিয়ে অনেকেই দূর্দশাগ্রস্থ, তাদের পরিবার- সন্তানের স্বপ্নগুলোকে চোখের জলে সমাহিত করে ফেলছে।
এ ব্যাপারে নদী শাসন কিংবা ভাঙন রোধে সরকারের কোনো পদক্ষেপ রয়েছে কি না তা জানা যায়নি। তবে ঐসব এলাকার মানুষ এখনও আশাবাদী ;বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার তাদের অবস্থা দেখবে, একটি পরিবারের স্বপ্ন হারানোর আগেই কোন পদক্ষেপ নিবেন।