রোজা, কঠোর লকডাউনের শুরুতে বাজারের যে উত্তাপ শুরু হয়েছে, তা এখনো কমেনি। অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া বেগুন, টমেটো, লেবু, শসাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তিতেই আটকে রয়েছে। ৭০ থেকে ৮০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। আর ফলের দামও এখনো কমেনি।
বুধবার রোজার প্রথমদিনেই অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে শসার। একদিনে দ্বিগুণ দাম বেড়ে শসার কেজি প্রায় একশ টাকা হয়ে গেছে। এর সঙ্গে প্রতি হালি লেবু ৮০ টাকা, পাকা টমেটো ৫০ টাকা ও বেগুনের দামও ১০০ টাকায় পৌঁছায়। বৃহস্পতিবারও (১৫ এপ্রিল) একই দামে এসব পণ্য বিক্রি হতে দেখা গেছে।
এছাড়া রাজধানীর তালতলা, খিলগাঁও, মতিঝিল কলোনি ও শান্তিনগর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু ও পেপে ছাড়া অন্যান্য প্রায় সব সবজি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা এবং পেঁপে ৪০ টাকা কেজিতে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রোজায় চাহিদা বেশি থাকে। মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও এবার এর ব্যতিক্রম হয়নি। তবে সরবরাহ সেই তুলনায় কম। ফলে পাইকারি বাজারে দাম বেড়েছে। কিছু কিছু পণ্য আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে।তালতলা কাঁচা বাজারে নিজামুদ্দিন নামে একজন ক্রেতা জানান, জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। লেবু এখন ১২০ টাকা। এটা ভাবা যায়। সরকার বাজার মনিটরিংয়ের কথা বললেও আদতে সেটা করা হচ্ছে না।
অন্যদিকে সরকার কিছু পণ্যের দাম বেধে দিলেও সেই দামে কোথাও পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে নির্ধারিত আয়ের মানুষরা চরম বিপদে রয়েছেন বলে আরও কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল।
বাজারে শুধু গরুর মাংস বেঁধে দেয়া দাম কেজিপ্রতি ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। নির্ধারিত দাম অনুয়ায়ী খুচরা বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম হবে সবোর্চ্চ ৪০ টাকা, চিনি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা, ছোলা ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, মসুর ডাল উন্নতমানের হলে দাম হবে ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা ও সাধারণ মোটা মসুর হলে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা, খেজুর সাধারণ মানের ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং মধ্যম মানের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটারে ১৩৯ টাকা। তবে এর মধ্যে পেঁয়াজ ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যই বাড়তি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
Leave a Reply