ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন
ঠাকুরগাঁওয়ে বিচারাধীন প্রায় তিনশ মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে কোটি টাকার যানবাহন
মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও জেলার পুলিশ সহ বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে বিভিন্ন সময়ে আটক মোটর সাইকেল ও বাইসাইকেল, অটো চার্জার সহ অন্যান্য যানবাহন খোলা আকাশের নীচে বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এই সমস্ত যানবাহনের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। আটককৃত ও জব্দকৃত যান বাহনের মধ্যে রয়েছে ট্রাক, মিনি ট্রাক, ট্রাক্টর ও মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল, অটো চার্জার । মোটর সাইকেলের সংখ্যাই বেশি। কোর্ট ভবনের কক্ষের ভিতরে ও বাইরে ৩ শতাধিক মোটর সাইকেল ফেলে রাখা হয়েছে। ঘরের ভিতরে জায়গা না হওয়ায় অসংখ্য মোটর সাইকেল বহু বছর থেকে খোলা আকাশের নীচে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এগুলি রোদে ও বৃষ্টিতে প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে।  কোর্ট ইন্সপেক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি কর্তৃক আলামত হিসাবে আটক বা জব্দকৃত প্রায় সব মোটর সাইকেলই চোরাচালানের কাজে বিশেষ করে ফেন্সিডিল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। তিনি জানান, বিচারাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় আড়াই শতাধিক হতে পারে। ১০/১২ বছর যাবৎ এই মামলাগুলি বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় মোটর সাইকেল এভাবেই পড়ে রয়েছে। আদালতের রায়ের উপর নির্ভর করবে এই সমস্ত যানবাহনের ভবিষ্যৎ।  তিনি আরও জানান, বিভিন্ন থানাতেও মোটর সাইকেল আটক রয়েছে। মলিকবিহীন গাড়ি আটক হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নির্দিষ্ট সময়ের পর সেগুলি নিলামের আদেশ দেন। পরে নিয়ম মেনে নিলাম ডাকের ব্যবস্থা করা হয়। নিলাম কমিটি এর দাম নির্ধারণ করবে।  বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, বছরের পর বছর মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন পড়ে থেকে এগুলি প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। নিলাম হলে অনেক যানবাহন ভাংগারির দোকানে লোহালক্কর হিসাবে বিক্রি হতে পারে। ঠাকুরগাঁও
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হালিম জানান, এটা দীর্ঘ দিনের সমস্যা। শুধু মোটর সাইকেলই নয়, ট্রাক, কার, ট্রলি ইত্যাদি বিভিন্ন যানবাহন বছরের পর বছর অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মামলার দীর্ঘসূত্রিতার জন্য রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। মামলাগুলি দ্রুত নিষ্পত্তি করা হলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x