গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের আলী বাবা থীম পার্কের আয়োজনে ও তারাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্ব নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা উদ্বোধন হয়। বুধবার বিকালে নাটশলার চর নামক স্থানে তিস্তা নদীতে নৌকা বাইচ খেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় বাইচের নৌকা ১২টি অংশগ্রহন করে। অনেক দিন থেকে তেমন কোন খেলা না থাকায় দূর দূরান্ত থেকে খেলা দেখতে আসেছেন দর্শনার্থীরা। নৌকা বাইচকে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা হিসেবে পরিচিত বলেই কিশোর, কিশরি,যুবক,যুবতি,বিদ্ধাসহ নানা বয়সী লোকজন এই খেলা দেখতে আসেন। ঢোল লের তালে ও কর্তাল ঝুমুরের ঝন ঝন শব্দে বিভিন্ন গানের সুরে নৌকা প্রতিযোগীতা খেলা চলে । নৌকা বাইচের এক একটি নৌকার নাম এক এক রখম যেমন বাংলার বাঘ,তিস্তা এন্টারপ্রাইজ, পাগলা বাব, মায়ের খুশি পাগলা বাবা, দুরন্ত চিতা,একাত্তুরের সৈনিকসহ বিভিন্ন নামের নৌকা। দীর্ঘ সময় নিয়ে এই খেলা দেখতে নদীর দুইপাশে ভিড় জমিয়েছে উপজেলা বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ সহ আশপাশের উপজেলার থেকে আগত প্রায় কয়েক হাজার মানুষ। অন্যদিকে নেচে গিয়ে দর্শনার্থীদের আনন্দ দিতে প্রাণপণ চেষ্টা প্রতিযোগীদরে। নৌকা বাইচ দেখতে আশা দর্শনার্থীদের দাবি এমন খেলা প্রতি বছর আয়োজন করার জন্য। বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা থেকে আশা নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন কারি নৌকার মালিক মজিবুর রহমান মজি বলেন আমরা এবার নৌকা বাইচ খেলার জন্য নতুন নৌকা বানিয়েছি আশা করছি বিজয়ী হব। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,চেয়ারম্যান আলী গ্রæপ অফ ইন্ডাট্রিজ, মোঃ ইয়ার আলী , আরো উপস্থিত ছিলেন, অবসার প্রাপ্ত কর্ণেল মোঃ রাশেদুর নবী, গাইবান্ধা জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ এমদাদুল হক নাদিম, বিশিষ্ট সামাজসেবক, আঃ সামাদ খোকা, মজিবুর রহমান মজি, আব্দর রাজ্জাক রাজু, মোখলেছার রহমান, দিপু হাসান ,ছামছুল হক, মাইদুল ইসলাম ,টিপু মিয়া ,শফিকুল ইসলাম সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রধান অতিথি বলেন ,নৌকা বাইচ খেলা গ্রাম বাংলা ঐতিহৎ বহন করে তাই প্রতি বছর এমন আয়োজন অব্যাহত থাকবে।