শেপুরের শ্রীবরদীতে প্রতিবেশির ধর্ষণের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর (১২) অন্ত:স্বত্তার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পুরান শ্রীবরদী গ্রামে। অন্ত:স্বত্ত¡া ওই শিক্ষার্থী স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুরান শ্রীবরদী গ্রামের মৃত সাদু মিয়ার ছেলে আ: হাকিম ওরফে ভূসি (৫০) এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত ভূসি পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় অন্ত:স্বত্ত¡া শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, আ: হাকিম ওরফে ভূসি ও ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর বাড়ির প্রতিবেশি। ভূসি সম্পর্কে অন্ত:স্বত্ত¡া শিক্ষার্থীর জেঠা। বিগত মার্চ মাসে আ: হাকিম ওরফে ভূসি কৌশলে ওই শিক্ষার্থীকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে তা পান করায়। পরে ওই শিক্ষার্থীকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থী অন্ত:স্বত্ত¡া হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখে তার মা গত ৭ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আ: হাকিম ওরফে ভূসি ও তার ভাই ফারুক মিয়া, আব্বাস মিয়াসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ওই কিশোরীর পিতা-মাতাকে চাপ সৃষ্টি করে। এ ব্যাপারে থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় অন্ত:স্বত্ত¡া শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে আ: হাকিম ওরফে ভূসিকে প্রধান ও দুইজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪-৫জনকে আসামী করে শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ওই শিক্ষার্থীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।