দেশের স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আজ খুলছে। করোনার ছোবলে ৫৪৩ দিন আগে সরকার দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছিল। এরপর এ বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত একাধিকবার শ্রেণি কার্যক্রম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কিন্তু সংক্রমণের দাপটে তা আর হয়ে ওঠেনি। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কোথাও সংক্রমণের হার একটানা দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশে স্থিতিশীল থাকলেই সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যাবে। কিন্তু বাংলাদেশে শনিবারও সংক্রমণের হার ৭ শতাংশের ওপরে ছিল।
অবশ্য এটা আগের দিনের তুলনায় প্রায় দেড় শতাংশ কম। সেই হিসাবে অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই ছাত্রছাত্রীদের সরাসরি পাঠদানের জন্য ক্লাসরুমে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় সোয়া ৩ কোটি শিক্ষার্থী।
প্রাক-প্রাথমিক স্তরে এখন শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে না। এখনো বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে দীর্ঘদিন পর ক্লাসে বসার আনন্দে মাতোয়ারা ছাত্রছাত্রীরা। এক সপ্তাহ ধরে তারা স্কুলব্যাগ, ড্রেস, জুতা ইত্যাদি কিনে স্কুলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। তাদের স্বাগত জানাতে বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও প্রস্তুত।
বিশেষ করে শহরাঞ্চলের স্কুল-কলেজ অনেকটাই নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। এছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তবু অভিভাবকরা কিছুটা অস্বস্তি আর উদ্বেগে আছেন।
সার্বিক বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন শনিবার যুগান্তরকে বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ আছে সরাসরি পাঠদান। এতে শিক্ষার অপরিমেয় ক্ষতি হচ্ছিল।
তাই ক্ষতি আর না বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। পুনরায় ক্লাস শুরু উপলক্ষ্যে সরকার সার্বিক পদক্ষেপ নিয়েছে। মহামারি পরিস্থিতির বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।
আমরা শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিয়েছি। শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের জন্য স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে। শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ৯০ শতাংশকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এরপরও আমরা বসে থাকব।
দৈনিক প্রত্যেকটি স্কুল মনিটরিংয়ের পাশাপাশি ঢাকায় আসা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। স্কুল খোলাকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তের সমস্যা সমাধানের জন্য শনিবার মন্ত্রণালয় খোলা রাখা হয়েছিল।
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুল-মাদ্রাসার শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট ৯ স্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জন্য ৬৩ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুতের জন্য দেওয়া হয়েছে আলাদা ১৯ দফা নির্দেশিকা।
রুটিন তৈরির জন্য পাঠানো হয়েছে ১১ দফা করণীয়। আর স্কুল-কলেজের হোস্টেল খুলতে আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে ১৪ নির্দেশনা। প্রাথমিক স্তরের জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে মৌলিক রুটিন করে দেওয়া হয়েছে।
আর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদাভাবে দেওয়া হয়েছে ১৬ দফা নির্দেশনা। উভয় ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই স্তরে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা করতে গিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হলো কিনা সেই তথ্য দৈনিকই শিক্ষার মাঠ প্রশাসন এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানকে পাঠাতে হবে ঢাকায়।
এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখতে সাধারণ মাঠ প্রশাসনকেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ১১ দফা নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা দৈনিক স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার সমস্যাসহ সার্বিক দিক বিকাল ৩টার মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) জানাবেন।
একইভাবে উপজেলা ও থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারাও মনিটরিং করে প্রতিদিন বেলা ৪টার মধ্যে মাউশিতে প্রতিবেদন দেবেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তথ্য সংগ্রহ করবেন জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তারা। সমস্যা হলে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে (ডিপিই) জানাতে হবে।
এদিকে শ্রেণিকাজ শুরুর পর পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে পুনরায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তুতিও আছে সরকারের। শনিবার জামালপুরে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা উল্লেখ করে বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঠদান চললে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম।
বিষয়টি নিশ্চিতে আমরা স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। আমরা কোনোভাবেই শিশুদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবহেলা করব না। তাই বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছি।
যদি কোনো প্রতিষ্ঠান সেসব না মানে তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি ফের সংক্রমণ বেড়ে যায় তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার বন্ধ করা হবে।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই স্কুল খুলে দিতে হয়েছে। তবে যেহেতু সব এলাকায় সংক্রমণ সমান নয়।
তাই কোনো এলাকায় পরিস্থিতি তেমন হলে সেখানের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা আমরা ইতোমধ্যে পাঠিয়েছি। আমাদের কাছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তাই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনার রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৭ মার্চ বন্ধ করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপর এখন পর্যন্ত ২৩ দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মতে, মহামারিকালে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ রাখার দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। ইউনেস্কো-ইউনেসেফের মতো প্রতিষ্ঠান দীর্ঘ বন্ধে বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে একাধিকবার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
দেশের সুশীল সমাজের পক্ষ থেকে স্কুল খোলার চাপ ছিল। আর বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রথমে ১৮ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সচিব সভায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিতে বলেন।
পরে তিনি এ নিয়ে সংসদেও কথা বলেন। এরপরই ৩ সেপ্টেম্বর চাঁদপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে স্কুল খোলার তারিখ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী। এর আগে ২৬ আগস্ট স্কুল খোলা নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সেখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, করোনা সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির প্রধান এবং অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কুল খোলার ব্যাপারে সম্মিলিত মতামত দিয়েছে করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
পাশাপাশি কমিটি স্কুল খোলার আগে ও পরে করণীয় সম্পর্কে নির্দেশিকা দিয়েছেন। এ নিয়ে ৫ সেপ্টেম্বর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
রুটিন : পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মৌলিক রুটিন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এটি অনুযায়ী, প্রতিদিন পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস হবে। সঙ্গে একেকদিন এক একটি শ্রেণির ক্লাস হবে।
যেসব স্কুলে শিক্ষার্থী বেশি সেখানে প্রয়োজনে দুই শিফটে ক্লাস নেওয়া যাবে। প্রথম শিফট সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ৩টা ঘণ্টা চলবে। দুপুরে ৩০ মিনিটের বিরতি থাকবে। এরপর ক্লাস শুরু হয়ে বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
প্রতিদিনই ক্লাস শুরুর আগে দশ মিনিট করে কোভিড-১৯ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা করতে হবে। এর আগে ৩০ মিনিট থাকবে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশের জন্য। একসঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়া যাবে না।
বুধ ও বৃহস্পতিবার কেবল পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাবে। অন্য চার দিন তাদের সঙ্গে আরেকটি শ্রেণির ক্লাস হবে। সে ক্ষেত্রে শনিবার চতুর্থ, রোববার তৃতীয়, সোমবার দ্বিতীয় এবং মঙ্গলবার প্রথম শ্রেণির ক্লাস হবে। এই চার শ্রেণির কেবল বাংলা, গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান হবে।
আর পঞ্চম শ্রেণির সব বিষয়েই পাঠদান চলবে। মাধ্যমিক স্তরের জন্য প্রথমে রুটিন করা হলেও পরে বাতিল করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক নিজের প্রয়োজনের নিরিখে কর্মপন্থা ঠিক করতে বলে দেওয়া হয়েছে।
ব্যুরোর পাঠানো খবর-
বগুড়ায় সব স্কুলে ক্লাস গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন : জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস গ্রহণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার সম্প্রতি বন্যায় ডুবে যাওয়া ৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে গেছে।
সেখানেও ক্লাস গ্রহণের উপযোগী করা হয়েছে। বগুড়ার সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ আকতার জানান, ১২ উপজেলায় মোট এক হাজার ৩৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। বর্তমানে কোনো বিদ্যালয়ে বন্যার পানি নেই।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের তত্ত্বাবধানে সব প্রতিষ্ঠান ক্লাস গ্রহণের উপযোগী করা হয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রা পরিমাপের মেশিন রাখা হবে।
চট্টগ্রামে প্রস্তুত সাড়ে চার হাজার প্রতিষ্ঠান : চট্টগ্রামে পাঠদানের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘদিন পর স্কুল খুলে দেওয়ার আগে ৪৫০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা।
সব স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস চালু করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ডিসি হিল সংলগ্ন ন্যাশনাল প্রাইমারি স্কুল ও ডা. খাস্তগীর বালিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।
এ সময় তিনি করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীকে স্কুলে দিয়ে অভিভাবকদের স্কুলের সামনে জটলা না করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
বরিশালে স্কুলে স্কুলে আনন্দ উৎসব : প্রায় প্রতিটি স্কুল-কলেজ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, কোনো কোনো স্কুল-কলেজে নতুন করে রং করা হয়েছে। কোনো প্রতিষ্ঠানে আলপনা, ক্লাস রুমে বেলুন দিয়ে সাজাতেও দেখা গেছে।
সব মিলিয়ে স্কুলে স্কুলে যেন আনন্দ উৎসব বিরাজ করছে। দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র ইংরেজি ভার্সনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাহানারা ইসরাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। শনিবার স্কুলটিতে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের প্রতিটি কক্ষ নতুন করে সাজানো হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান কবি এসএম শেলী বলেন, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর। সেই চিন্তা থেকে পুরো প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করা হয়েছে।
রাজশাহীতে ঊচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা : পাঠদান শুরুর জন্য রাজশাহীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রস্তুতি শেষ। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
জেলার বাঘা উপজেলার আড়ানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নার্গিস খাতুন বলেন, পাঠদানের উপযোগী করার জন্য আমরা শ্রেণিকক্ষগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছি। আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন।
গোদগাড়ী উপজেলার পিরিজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আকবর আলী স্কুল খোলার সংবাদে মহাখুশি। সে বলে, বাড়িতে আর মন টিকছে না। স্কুলে কখন যাব সেই অপেক্ষায় আছি।
রংপুরে অভিভাবকদের স্বস্তি : রংপুরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে যাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা। নগরীর সাতমাথা বালাটারি এলাকার আফজাল হোসেন, কেরানীরহাট এলাকার সাইফুল ইসলাম ও মর্ডান চেয়ারম্যানপাড়ার আবু সুফিয়ান মুকুল জানান, করোনার কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল।
এ কারণে সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। তারা লেখাপড়ায় অনেকটা পিছিয়ে পড়েছে। এখন মনে স্বস্তি ফিরেছে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কঠোর হওয়ারও আহব্বান জানান।
গঙ্গাচড়ার কোলকোন্দ আবুলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় খারাপ লেগেছে। খোলার অপেক্ষায় ছিলাম। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক শিক্ষার পরিবেশ ফেরাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
গোলাপ ফুলে শিক্ষার্থীদের বরণ : ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে থাকবে তাপমাত্রা পরিমাপের ব্যবস্থা। শরীরের তাপমাত্র বেশি হলে আলাদা রুমে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে প্রবেশের পর হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক পরিধানও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এরপর শিক্ষার্থীদের হাতে গোলাপ ফুল দিয়ে ক্যাম্পাসে বরণ করা হবে। কথাগুলো বলছিলেন যশোরের চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, আগেই ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে ক্লাস কার্যক্রম। শুধু চৌগাছা উপজেলার এবিসিডি কলেজ নয়, যশোরের দুই সহস্রাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
সিলেটে পাঠে ফের মনোযোগী করাই বড় চ্যালেঞ্জ : সিলেট বিভাগের সব কটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেই পাঠদানের উপযোগী করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের দাবি, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হাওড় ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকাতে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও পাঠদান শুরুর ব্যত্যয় ঘটবে না।
বিভাগের চার জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জের হাওড়াঞ্চলে থাকা অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষার্থীদের যেতে হয় নৌকায়। আবার মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থান অনেকটা গহিন অরণ্যের উঁচু পাহাড়, টিলায়।
সিলেট ও হবিগঞ্জ এই দুটি জেলার হাওড় ও পাহাড়ি এলাকাতেও রয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষাবিদ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসা, ফের পাঠে মনোযোগী করা একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ।
ময়মনসিংহেও সব প্রস্তুতি সম্পন্ন : ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল যুগান্তরকে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে গ্রহণ করা হয়েছে নানা উদ্যোগ।
বিদ্যালয়ের গেটে রাখা হয়েছে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কুমিল্লায় পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত : জেলায় প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার জন্য প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রোকসানা ফেরদৌস মজুমদার বলেন, স্কুল খোলা হবে তাই শিক্ষকদের নিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
অনলাইনে সব শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ যাবতীয় নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নান বলেন, সব প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতে জোর দেওয়া হয়েছে।
where to buy lasuna without a prescription – himcolin for sale online buy himcolin online
cheap neurontin pill – brand azulfidine 500 mg sulfasalazine where to buy
order besivance sale – buy generic carbocisteine purchase sildamax
cheap benemid 500mg – tegretol pills buy carbamazepine pill
buy celecoxib 100mg pills – order indomethacin 75mg generic indomethacin order online
order mebeverine generic – buy mebeverine 135mg generic buy pletal cheap
buy diclofenac 50mg generic – how to get cambia without a prescription aspirin pills
pyridostigmine 60 mg sale – buy generic sumatriptan for sale order imuran 50mg pill
baclofen price – buy baclofen 25mg online cheap cost feldene
generic diclofenac – purchase imdur pill buy nimodipine
cyproheptadine 4 mg sale – buy tizanidine online cheap buy zanaflex for sale
order meloxicam generic – buy meloxicam 7.5mg sale how to get toradol without a prescription
buy cheap cefdinir – clindamycin ca
buy trihexyphenidyl generic – order cheap emulgel order cheap diclofenac gel
isotretinoin 20mg pill – purchase absorica pills purchase deltasone for sale
prednisone us – cheap prednisolone 40mg buy permethrin creams
acticin cream – tretinoin gel ca tretinoin gel over the counter
betamethasone for sale online – purchase monobenzone without prescription buy benoquin for sale
flagyl ca – order metronidazole 400mg pill order cenforce 100mg online
augmentin order online – synthroid brand levothroid over the counter
clindamycin drug – order indocin 75mg for sale buy cheap indocin
oral losartan 50mg – buy losartan keflex 125mg canada
purchase eurax generic – order aczone pills buy cheap generic aczone
provigil canada – modafinil 100mg over the counter buy cheap melatonin
bupropion oral – order bupropion 150 mg buy shuddha guggulu tablets
buy xeloda medication – buy danazol 100 mg generic danocrine 100 mg brand
progesterone generic – ponstel order online order clomiphene without prescription
alendronate 70mg oral – generic alendronate 35mg provera 5mg us