ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২১ পূর্বাহ্ন
সিসিটিভি লুঙ্গি দিয়ে ঢেকে ৪ শিক্ষার্থী পেটানো হলো
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

মাদারীপুরে লুঙ্গি দিয়ে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ঢেকে ৪ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক মাদরাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

শাহ্ মাদার দরগা শরিফ মাদরাসার শিক্ষক বেলাল হোসাইন শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) আসরের নামাজের পর তাদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। বেধড়ক পিটুনি থেকে বাঁচতে ওই সময় দুই শিক্ষার্থী পালিয়ে বাড়ি চলে যায়।

ভুক্তভোগীরা হলেন, ডাসার উপজেলার পশ্চিম বোথলা গ্রামের শাহাদাৎ ব্যাপারীর ছেলে আসিফ ব্যাপারী (১০), আয়নাল ব্যাপারীর ছেলে সাকিব (১২), রাজার চরের রাজু ও কালকিনি উপজেলার খাসের হাট গ্রামের সাইফুল। তারা সবাই মাদরাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

স্থানীয়রা জানান, করোনাকালীন সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কে এ খান হাফেজি মাদরাসা খোলা রেখে পাঠদান চালিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষক মোহাম্মদ উল্লাহ। শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ৯ থেকে ১০ বছরের ১৩ শিক্ষার্থী মাদরাসার ভেতরে খেলছিল। পরে তাদের কথার শব্দে মোহাম্মদ উল্লাহর ঘুম ভেঙে যায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসার একটি কক্ষের দরজা আটকে ১০ ছাত্রকে বেত দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন তিনি। পরে তাকে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী আসিফ ব্যাপারী ব‌লে, ‘অহেতুক হুজুর আমাকে মেরেছেন। কুঁচকিতে ঘা হওয়ায় আমি অসুস্থ ছিলাম। এ জন্য আসরের নামাজ পড়তে পারেনি। তাই হুজুর সিসি ক্যামেরা লুঙ্গি দিয়ে ঢেকে ৪ জনকে বেধড়ক পেটান।’

তিনি আরও বলে, ‘আমার হাত ও পিঠে দাগ হয়ে গেছে। হুজুর আমাদের হুমকি দেন যে আমাদের মতো দুই-একজনকে মেরে দরকার হয় তিনি জেলে যাবেন।’

আসিফের বাবা শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘এভাবে যদি মাদরাসায় ছাত্রদের মারধরের শিকার হতে হয়। তাহলে আর আমাদের ছেলে মেয়েদের ভর্তি করব না।’

মারধরের সময় সিসিটিভি ক্যামেরা ঢেকে রাখার তথ্যও নিশ্চিত করে মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন, ‘এটা একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষক বেলাল হোসাইন বর্তমানে পলাতক।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হো‌সেন মিঞা ব‌লেন, ‘বিষয়‌টি ‌আমি এখ‌নও জা‌নি না। য‌দি কেউ লি‌খিত অভি‌যোগ ক‌রে তাহ‌লে ব্যবস্থা নেয়া হ‌বে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x