ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
ইউরোপে ভবিষ্যত সম্ভাবনার শহর পর্তুগালের রাজধানী লিসবন
Reporter Name

লেখা, মনির হোসেন, লিসবন: পর্তুগালের রাজধানী লিসবন, যার পর্তুগিজ নাম লিজবোয়া, তাগুস নদীর তীরে অবস্থিত, লিসবন শহরটি প্রাচীনতম শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজধানী শহর এথেন্সের পরই দ্বিতীয় প্রাচীন শহর। রোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর এটি পঞ্চম শতাব্দী থেকে একাধিকবার জার্মানি উপজাতি দ্বারা শাসিত ছিল, পরে অষ্টম শতাব্দীতে মোরস দ্বারা দখল করা হয়েছিল। ১১৪৭ সালে আফনসো হেনরিক্স শহরটি জয় করেছিলেন এবং তখন থেকেই এটি পর্তুগালের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে রয়েছে।

শহরটি যোগাযোগের সুব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের মান, বন্দর, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জলবায়ু এবং আধুনিক সেবার জন্য বিশ্ববিখ্যাত। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ লাইনের মেট্রোরেল মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে আছে সমগ্র লিসবনজুড়ে, তা ছাড়া বাস, ট্রাম, উবার, বোল্ট, টেক্সি এবং বন্দরে বিশাল আকারের ফেরি ও জাহাজগুলো পুরো লিসবনকে একটা অত্যাধুনিক সেবার শহরের তালিকায় সংযুক্ত করেছে।

অর্থ, বাণিজ্য, মিডিয়া, বিনোদন, চারুকলা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, শিক্ষা ও পর্যটন ক্ষেত্রে এর গুরুত্বের কারণে লিসবন একটি আলফা স্তরের বৈশ্বিক শহর হিসেবে স্বীকৃত। পর্তুগালের সবচেয়ে ব্যস্ততম বিমানবন্দর লিসবনের হাম্বার্তো দেলগাদো, যেখানে ২০১৮ সালে ২৯ মিলিয়ন যাত্রী ভ্রমণ করেছেন। লিসবন আইবেরীয় উপদ্বীপের তৃতীয় ব্যস্ততম এবং ইউরোপের ২০তম ব্যস্ততম নগর। মোটরওয়ে নেটওয়ার্ক এবং আলফা পেন্ডুলারের দ্রুতগতির রেলব্যবস্থা পর্তুগালের প্রধান শহরগুলোকে লিসবনের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

পর্তুগালের বড় বড় সংস্থাগুলোর সদর দপ্তরও লিসবনে। শহরটি ইস্তাম্বুল, রোম, বার্সেলোনা, মিলান, এথেন্স, ভেনিস, মাদ্রিদ ও ফ্লোরেন্সের পর ২০১৮ সালে ৩৫ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০ জন পর্যটক নিয়ে দক্ষিণ ইউরোপের নবম সর্বাধিক দেখা দর্শনীয় শহর। পর্তুগালের যেকোনো শহরের তুলনায় লিসবনে মাথাপিছু জিডিপির হারও বেশি।

লিসবনের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে জর্জ ক্যাসেল, রোয়া আগস্ট আর্চ, এদোয়ার্দো পার্ক, বেলেম টাওয়ার, লিসবন ক্যাথেড্রাল, ২৫ এব্রিল ব্রিজ ও ভাস্কো দ্য গামা ব্রিজ অন্যতম। জনসংখ্যার দিক দিয়ে ইউরোপে ১০ম স্থানে অবস্থান করছে শহরটি। পশ্চিমে আইবেরিয়ান উপদ্বীপ এবং রিভোরীয় কন্টিনেন্টাল থেকে শুরু করে, কাবো দ্যারোকায় শহরটির সমাপ্তি ঘটে। সরকারের রাজনৈতিক আসন এবং রাষ্ট্রপ্রধানের বাসভবন হিসেবে এটি দেশের রাজনৈতিক কেন্দ্রও বটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x