আয়া থেকে শিক্ষক সকলকেই এমপিও ভুক্ত করার জন্য লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডালনিয়া আই,এ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক বীজন কান্তি মল্লিক ওই স্কুলের আয়া (চাকুরী প্রর্থী)সাবানা বেগমের ৫০ হাজার, নৈশ প্রহরীজামাত আলী মোল্লার কাছ থেকে ১১হাজার, মালি কামরুল মোল্লার কাছ থেকে ৬ ও সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) বাবু লাল মন্ডলের কাছ থেকে ১লক্ষ ৫০হাজারটাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমপিওভুক্ত ও চাকুরি না পেয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে অভিযোগ করেন তারা।এছাড়াও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ডালনিয়া আইএ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গাউছ আলী খান বলেন,“প্রধান শিক্ষক স্কুলের আয়া, নৈশ প্রহরী, মালী ও সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে যে টাকা নিছেন তা আদৌ জানতাম না । গত ১৮ই আগষ্ট তাহারা আমার কাছে অভিযোগ করলে তাদের টাকা আমি প্রধান শিক্ষক বীজন কান্তি মল্লিককে ফেরৎ দিতে বলেছি। কিন্ত তিনি তাদের টাকা কী কারনে ফেরৎ দিচ্ছে না আমি জানি না।”
তিনি আরও বলেন, “এর আগেও তিনি ২৮ জন শিক্ষার্থীদের কাছেউপবৃত্তি অনলাইন করার জন্য ১৫০ টাকা করে নিয়েছেন। পরে আমি প্রতিবাদ করলে ১০০ টাকা করে তাদের ফেরৎ দেয়।”
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বীজন কান্তি মল্লিক টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এমপিওভুক্ত করার জন্য বিভিন্ন কাগজ পত্র তৈরি ও স্কান করে আবেদন করার জন্য নিয়েছি। তবে আয়া সাবানা বেগমকে আমি চিনিনা তার কাছ থেকে কোন টাকাও নেইনি।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ডালনিয়া আই.এ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের চাকুরি দেওয়া ও এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভনে টাকা নেওয়ার ঘটনাটি আমাকে কেউ লিখিত বা মৌখিক জানায়নি। আপনাদের ম্যাধমে জেনেছি। ঘটনাটি সত্য হলে কতৃপক্ষ দিয়ে তদন্ত করে ব্যাবস্থা নিবো।
Leave a Reply