ঢাকা, বুধবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:১৪ পূর্বাহ্ন
যমুনার পানি বিপৎসীমার উপরে
রাম বসাক, শাহজাদপুর, সিরিজ

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অপরদিকে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টের গেজ মিটার (পানি পরিমাপক) আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, যমুনার পানি বাড়ায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল, এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বিস্তীর্ণ ফসলি ও গো-চারণ ভূমি।

এদিকে, যমুনার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাজিপুর, চৌহালী, শাহজাদপুর, সদর, বেলকুচি উপজেলার নদী তীরবর্তী অঞ্চলে শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। গত ১৫দিন ধরে ভাঙনে প্রায় অর্ধ শতাধিক ঘর-বাড়ি ও শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।

যমুনায় অব্যাহত পানি বাড়ায় জেলার অন্তত ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, “যমুনার পানি দুদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পূর্বাভাস কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৫ তারিখ পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাবে, তবে বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।”

সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পূর্ণবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, “যমুনা পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকেছে। তবে এখনো কোনো বাড়ি ঘরে পানি উঠেনি। ৫টি উপজেলায় সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমান বরাদ্দ রয়েছে। প্রয়োজনে পানিবন্দি মানুষদের মধ্যে সেই বরাদ্দগুলো বিতরণ করা হবে। এছাড়া আমাদের কাছে পৌনে ৬শত টন চাউল মজুদ রয়েছে, পর্যায়ক্রমে মজুদকৃত চাউল বিতরণ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x