মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কলেজছাত্রীর (২৫) শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শরিফ মিয়া (৪০) নামের এক বখাটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই কলেজছাত্রীর শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত বখাটে শরিফ একই এলাকার বাসিন্দা ও দুই সন্তানের জনক।
এ ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য বলেন, ওই তরুণী বিএ শেষ বর্ষের ছাত্রী। বখাটে শরিফ মিয়া কৌশলে তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। দীর্ঘ দিন প্রেমের সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তাদের মাঝে সম্পর্কের আরও গভির পর্যায়ে যায়।
ভিকটিমের মা বলেন, গত এক বছর আগে পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে মোবাইল ফোনে প্রবাসীর সঙ্গে বিয়ে হয়। মেয়েটির বিয়ের পর থেকে ছেলেটির অনৈতিক প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে শরিফ তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। স্বামী প্রবাসে থাকার কারণে ওই তরুণী তার বাবার বাড়ি থেকে পড়াশোনা চালিয়ে আসছিলেন।
সোমবার রাতে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে থাকায় কৌশলে ওই তরুণীকে ডেকে নিয়ে যায় বাড়ির পাশে কাঠ বাগানে। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বখাটে শরিফ কলেজছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ওই তরুণী চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে শরিফ পালিয়ে যায়। মেয়েটি কাঠ বাগানের পাশেই পানিতে পানিতে ঝাঁপ দেয়।
পরে আশপাশের লোকজন মেয়েটির চিৎকার শুনে ঘুম থেকে উঠে এসে মুমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। মেয়েটিকে গুরুতর অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে রাজধানী ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রেফার্ড করেন। তার অবস্থা সংকটজনক বলে জানা গেছে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজউদ্দিন আহমেদ বিপ্লব আরটিভি নিউজকে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। মেয়ের মা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ঢাকার হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।