মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে যাতায়াতের একটি রাস্তায় বেড়া দিয়ে জন চলাচলের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মর্মে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর নিজেই বেড়া সরিয়ে নেন বাবুল শেখ। কিন্তু সরিয়ে নেননি জনচলাচলের রাস্তার উপর নির্মিত টয়লেটের টাংকি। এতে করে ২৫টি পরিবারের চলাচলের চরম দুর্ভোগ থেকেই গেলো।
রবিবার (২২ আগষ্ট) উপজেলার আটপাড়া ইউনিয়নের বাড়ৈগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এব্যাপারে ভুক্তভোগী পরিবারেরদের পক্ষ থেকে স্বপন শেখ বাদী হয়ে বাবুল শেখগংয়ের বিরুদ্ধে শ্রীনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার স্বপন শেখের সাথে তার চাচা বাবুল শেখের পারিবারিক যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বাবুল শেখ কয়েকদিন আগে বিরোধপূর্ণ যাতায়াতের রাস্তায় বেড়া নির্মান করে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়।এতে স্বপন শেখসহ প্রায় ২৫ টি পরিবারের যাতায়াতের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। পরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেয়াল নির্মাণ বন্ধ করে দেয়। এব্যাপারে আটপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক হয়। কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই সালিশ শেষ হলেও চেয়ারম্যান অজ্ঞাত কারণে দুই পক্ষের আপোষনামা থানায় জমা দেন। বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী থানায় যোগাযোগ করেন এবং তিনি কোন আপোষনামা দেননি বলে জানান। এঘটনায় পুলিশ দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলেন। বাবুল শেখ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বেড়াটি সরিয়ে নিলেও সরিয়ে নেননি টয়লেটের টাংকি। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার প্রায় ২৫টি পরিবার বিপাকে পড়ে। কোমর পর্যন্ত পানিতে ভেসে তাদের চলাচল করতে হচ্ছে বলে জানান বৃদ্ধা আছিয়া বেগম(৭০)।
আটপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী খান বলেন, বাবুল শেখ আমাকে ভুল বুঝিয়ে একটি মিমাংসা পত্র নিয়ে গেছেন। রাস্তায় বেড়া দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে বাবুল শেখ বলেন, স্বপন শেখ তার জায়গায় ভবন করেছে। এখন আমাকে চলাচলের রাস্তা দিলে আমিও রাস্তা দিব।
অভিযোগটির তদন্তকারী অফিসার শ্রীনগর থানার এএসআই আকরাম বলেন, বিবাদী এসে আপোষনামা দিয়ে গেছে। তা সঠিক কিনা আমি জানি না।
Leave a Reply