ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন
শাহজাহান তার বোনকে খুঁজে পাচ্ছেন না, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে (জিডি)
Reporter Name

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টকাণ্ডের রেশ এখনো কাটেনি।এখনো দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে এই কাণ্ডে।এর মধ্যেই মামুনুল হকের তৃতীয় বিয়ের খবর বের হয়েছে।মো শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি তার বড়বোন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপির স্বামী দাবি করছেন মামুনুল হককে ,শাহজাহান রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

মামুনুল হকের ‘তৃতীয় স্ত্রী’ জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপির বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ার বানারহাওলা গ্রামে বলে জিডিতে তথ্য দেওয়া হয়েছে। জিডিতে জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে লিপির ভাই দাবি করা মো. শাহজাহান অভিযোগ করেছেন, গত বুধবার তার বড়বোন জান্নাতুল ফেরদৌস লিপির সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়।তখন তার বোন জানিয়েছিলেন তিনি মোহাম্মদপুরে দিলরুবা আপার বাসায় আছেন।এর মধ্যে গেল শনিবার মামুনুল হক তাকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে তার বোনকে বিয়ে করেছেন বলে জানান।সে সময় মামুনুল হক একটি চুক্তিনামাও দেখান। এরপর থেকে বোনের খোঁজ পাচ্ছেন না বলে জানান শাহজাহান।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবদুল লতিফ গণমাধ্যমকে বলেন, শাহাজাহান জিডিতে যে তথ্য দিয়েছেন- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।এর আগে গত শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে পল্টন থানায় নিজের ও মায়ের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে পল্টন থানায় মামুনুল হকের দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ওরফে ঝর্নার ছেলে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।এই ঝর্নাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে গিয়েছিলেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক।

পল্টন থানার ওসি আবু বকর বলেন, জিডিতে তার ছেলে বলেছেন, তার মা গত ৩ এপ্রিল ধানমণ্ডির নর্থ সার্কুলার রোডের বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পর থেকে তার খোঁজ আর পাচ্ছেন না তিনি।পরে মায়ের কক্ষে তিনটি ডায়েরি পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেছেন, সেগুলো নিয়ে বের হওয়ার পর কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি তাকে অনুসরণ করছে বলে তিনি বুঝতে পারেন। তাতে তিনি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত বোধ করছেন।

ওসি বলেন, ডায়েরিগুলো রেখে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। বিষয়টির তদন্ত চলছে।উল্লেখ্য, হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক গত ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়্যাল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে ওই রিসোর্টে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে ব্যাপক ভাংচুর করে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যান।

তবে ঘেরাও থাকা অবস্থায় এই হেফাজত নেতা জানান, সঙ্গে থাকা নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুই বছর আগে তিনি শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেছেন। কিন্তু ঘটনার রাতে কয়েকটি ফোনালাপ রেকর্ড ফাঁস হয়। সেখানে শোনা যায়, দ্বিতীয় বিয়ে করার বিষয়টি মামুনুল হকের প্রথম স্ত্রী জানতেন না। এছাড়া তিনি রিসোর্টে স্ত্রীর নাম সঠিক বলেননি।

এ ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন মামুনুল হক। লাইভে তিনি বলেন, স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে, স্ত্রীকে খুশি করতে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সীমিত পরিসরে কোনো সত্যকে গোপন করার অবকাশ রয়েছে শরিয়াহে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x