করোনা সংক্রমণের কারণে ১৭ এপ্রিল প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে থাকতে পারছেন না ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যতটা সম্ভব পরিবারের ৩০ জন সদস্যের ওই শেষকৃত্যে থাকার কথা রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিডের কারণে শেষকৃত্যে খুব বেশি লোকসমাগম কমাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাকিংহাম প্রাসাদ। তবে এদিন উপস্থিয় থাকবেন উইন্ডসরের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে প্রিন্স ফিলিপের সন্তান, নাতি-নাতনি এবং তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ লোকজনসহ মাত্র ৩০ জন। সাধারণ জনগণকে পুরো অনুষ্ঠান থেকে দূরেই থাকতে হচ্ছে। তবে অনলাইন এবং টিভিতে এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হবে।
ডিউকের শেষ কৃত্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে হবে না। সেটি হবে ‘রাজপরিবারের আনুষ্ঠানিক রীতি অনুযায়ী রাজকীয় অন্ত্যেষ্টি’, এই তথ্য জানিয়ে বাকিংহাম প্রাসাদের মুখপাত্র বলেছেন ‘ডিউকের শেষ কৃত্য হবে তার শেষ ইচ্ছা মেনে’।
প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার ১৭ এপ্রিল ব্রিটিশ স্থানীয় সময় বিকাল তিনটায় তার শেষকৃত্য হবে।
এই অনুষ্ঠানে তার বর্ণময় দীর্ঘ জীবনের নানা দিক প্রতিফলিত হবে। মহামারির নিয়মবিধি মেনে প্রিন্স ফিলিপের শেষকৃত্যানুষ্ঠান সীমিত আকারে করা হবে বলে জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার ৯৯ বছর বয়সে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী প্রিন্স ফিলিপ মৃত্যুবরণ করেন।
৭৩ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং তার স্বামী ফিলিপ। রানীর আদেশেই ব্রিটিশ রাজতন্ত্রে একসময় তিনি হয়ে ওঠেন দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি।