বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনাভাইরাসের টিকাপ্রাপ্তিতে বেশ এগিয়ে আছে ধনী দেশগুলো। আর দরিদ্র দেশগুলো অকল্পনীয়ভাবে পিছিয়েই আছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ৭০ কোটির বেশি ডোজ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। এর ৮৭ শতাংশই পেয়েছে ধনী দেশগুলো।এই বিভাজনকে সংস্থাটি ‘বেদনাদায়ক’ বলে উল্লেখ করেছে।
সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়াসুস জানান, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে গড়ে প্রায় চারজনের মধ্যে একজন কভিড টিকা পেয়েছে। অন্যদিকে, দরিদ্র দেশগুলোতে ৫০০ জনের বেশি মানুষের মধ্যে মাত্র একজন টিকা পাচ্ছে।
এখন পর্যন্ত ১০০ দরিদ্র দেশে প্রায় চার কোটি ডোজ সরবরাহ করেছে সংস্থাটি। এক বছরের কম সময়ে ১৯০ দেশে ২০০ কোটির বেশি ডোজ সরবরাহের আশা প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স গ্যাভি পরিচালিত কোভ্যাক্স কর্মসূচি। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘টিকা বিতরণে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।’
এদিকে, ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে চীন চলতি বছরের মধ্যেই ৩০০ কোটি ডোজ টিকা উৎপাদন করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। চীনের টিকা উদ্ভাবন প্রকল্পের সমন্বয় টিমের প্রধান জেং জোওয়েই গতকাল শনিবার বলেছেন, এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে চাহিদা মেটানোর সম্পূর্ণ সামর্থ্য তাদের রয়েছে।
ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে মার্চের শেষ পর্যন্ত প্রতিদিন ৫০ লাখ ডোজ উৎপাদন করেছে চীন। দেশটির শীর্ষস্থানীয় টিকা উৎপাদক সিনোভ্যাক বায়োটেক সম্প্রতি জানায়, তৃতীয় কারখানা স্থাপনের পর তাদের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ২০০ কোটি ডোজে পৌঁছেছে।
এদিকে, করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষায় ১২ বছর বয়স থেকেই ফাইজার তাদের টিকা ব্যবহারের অনুমোদন চেয়েছে। শুক্রবার ফাইজার ও তাদের জার্মান অংশীদার বায়োএনটেকের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে এ অনুমোদন চাওয়া হয়।
বর্তমানে ১৬ বছরের বেশি বয়সীরা ফাইজারের টিকা গ্রহণের জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচিত হন। ফাইজারের এই আবেদন অনুমোদন পেলে আসন্ন শরতে স্কুলে ফেরার আগেই টিকা নেওয়ার সুযোগ পাবে যুক্তরাষ্ট্রের শিশুরা।
ফাইজার-বায়োএনটেকের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সামনের দিনগুলোতে তারা অন্যান্য দেশেও একই ধরনের অনুমোদন চাইবে। সূত্র :বিবিসি ও এএফপি।