ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন
ইছামতি নদী সংস্কারের অভাবে মৎস্য আহরণকারীরা হুমকির মুখে
মোঃমোকাদ্দেস হোসাইন সোহান,রায়গন্জ,সিরাজগন্জঃ-

সিরাজগঞ্জ জেলার  রায়গঞ্জ উপজেলার হাট পাঙ্গাসী ও সদর এলাকার ইছামতি নদীটি দীর্ঘদিন যাবত সংস্কারের অভাবে এলাকার প্রকৃত কাডধারী মৎস্য আহরণ কারীরা চরম হুমকির মুখে পড়েছে।

গতকাল শনিবার সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,এই নদীতে প্রতি বছরই দীর্ঘদিন ধরে কচুরি পানা ও সুতা কাপড় ও  প্রসেস মিলের পানি এবং বিভিন্ন র্বজ্য ফেলে নদীর পানিকে বিষাক্ত করায় নানা প্রজাতির মাছ মড়ে যাচ্ছে। নদীর পানির রং কালো ও র্দূগন্ধ হওয়ায় নদীপাড়ের মানুষ গোসল ও ধোয়া মোছার কাজও করতে পারছেনা। এতে করে নদীপাড়ের মানুষ ও মৎস্যজীবিরা  পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে।এদিকে বেজঁগাতি প্রসেস মিল মালিকরা বলেন, আমরা নিয়ম মেনেই  মিল পরিচালনা করছি।মাছ মড়ার কারন কচুড়ি পানাকেই দায়ি করেন এখানকার প্রসেস মিল মালিকেরা।এদিকে উপজেলার ৮ নং পাঙ্গাশি ইউনিয়নের হাটপাঙ্গাসী গ্রামের হাওয়ালদার পাড়ার মৎস্য আহরণকারী নিখিল হাওয়ালদার প্রদিপ,নিলা,বিমল,মানিক,রাখাল,সাধন বলেন, আমাদের এই নদীতে দীর্ঘদিন ধরে কচুরি পানা আটকে থাকা  ও পানি বিষাক্ত হওয়ার কারনে আমরা মৎস্য আহরন করতে পারছিনা। এবং করোনাকালীন মহামারির সময় আমরা র্কমহীন হওয়ায় সরকারি প্রনোদনা ও সহায়তা না পেয়ে পরিবার নিয়ে অতি কষ্টে জীবন যাপন করছি।পরিশেষে কোন উপায় না পেয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা মৎস্য র্কমর্কতার অফিস ও রায়গঞ্জ উপজেলা মৎস্য র্কমর্কতা বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

এমতাবস্হায় নদীপাড়ের অসহায় র্কমহীন মানুষের কথা বিবেচনা করে প্রসেস মিলের বিষাক্ত পানি নদীতে গড়া বন্ধ করা সহ নদী সংস্কারের মাধ্যমে নদীর নব্যতা এবং পুরানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপখ্যের নিকট জোড় দাবি জানিয়েছেন অত্র নদীপাড়ের প্রকৃত কাডধারী মৎস্য আহরণকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x