গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরশহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন রাস্তার ধারে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়, যেখান থেকে প্রতিনিয়ত বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে দ‚ষিত হচ্ছে পরিবেশ, ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সুুন্দরগঞ্জ পৌরভবনের সম্মুখভাগ, পৌরবাজার থেকে থানা যাওয়া রাস্তার ধারে, মীরগঞ্জ বাইপাস(নিশিকান্ত সাহার বাসার পিছন), মীরগঞ্জ বাজার চৌকি হাটির পাশে আবাসিক এলাকায় পরিত্যক্ত পুকুরে, আঃ মজিদ মন্ডল উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ের কর্ণিপাড়া রাস্তার পশ্চিম ধারসহ বিভিন্ন রাস্তার পাশে শহরবাসীর ব্যবহৃত বিভিন্ন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এবং গড়ে উঠেছে ভাগাড়।
এতে করে শহরের সৌন্দর্যহানিসহ দ‚ষিত হয়ে পড়ছে পরিবেশ। অপরদিকে পৌরসভার প্রাণকেন্দ্র উপজেলা পরিষদ ভবনের পাশে অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরেও ফেলা হচ্ছে বিভিন্ন বর্জ্য। শহীদ মিনার চত্বরে সাধারণ মানুষের অবসর সময় কাঠানোর জন্য বসার ব্যবস্থা থাকলেও ময়লার দুর্গন্ধ। পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হওয়ায় সেখানে বসতে পারছেন না সাধরণ মানুষ।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র এই পৌরসভা এবং এই শহরে বিভিন্ন কাজে আশে বিভিন্ন জায়গার মান্ধুসঢ়;ষ। প্রতিনিয়ত পৌরশহরে চলাচল করে প্রায় ৫০/৬০ হাজার সাধারণ মান্ধুসঢ়;ষ। তবে রাস্তায় চলতে গেলে অনেক নাক মুখ বন্ধ পাড়ি দিচ্ছে এসব ময়লার ভাগাড়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন ব্যবস্থাই নেওয়া হয় না। এ থেকে মশা মাছি ও উৎপাত বাড়ছে।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ ছামিউল ইসলাম বলেন ময়লা ফেলানোর জন্য নির্দিষ্ট এক একর জায়গা নির্ধারণ করলে ও এখনো তা ময়লা ফেলানোর উপযুগী করা হয় নাই। তবে এই বছরেই প্রস্তুত করা হবে। তাই পুরনো ও পরিত্যক্ত জায়গায় ময়লা ফেলছে স্থানীয় মানুষেরা।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সহ বিভিন্ন জায়গায় ময়লার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান বিষয়টি আমার নজরে আসলে আমি ময়লা ফেলানো বন্ধ করি, নতুন করে এখন আর ময়লা হচ্ছে না। তবে পৌরসভা থেকে একটি নির্দিষ্ট জায়গা ঠিক করা হয়েছে এই বছরেই তা প্রস্তুত হলে সেখানেই ময়লা ফেলানো হবে।