বর্তমান সময়ের আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। বুধবার মাদকসহ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব। এর পর বেরিয়ে আসতে থাকে তার ব্যক্তিগত জীবনের অনেক কথা। জানা যায়, বেপরোয়া জীবন বেছে নেওয়ায় পরীমনির সঙ্গে আলাদা বসবাস করেন তার দ্বিতীয় স্বামী।
পরীমনির দ্বিতীয় স্বামীর নাম ফেরদৌস কবীর সৌরভ। তার বাড়ি যশোরের কেশবপুর পৌরশহরের অফিস পাড়ায়। বুধবার রাতে তিনি একান্তে কথা বলেন সঙ্গে। এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে তিনি পরীমনির সঙ্গে তার বিয়ে সংসার এবং বিচ্ছেদের কথা জানান।
সৌরভ জানান, তার দাদা বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঁঠালিয়া থানার মরিচবুনিয়া গ্রামে। ২০১১ সালে এসএসসি পরীক্ষার পর দাদাবাড়ি গিয়ে পরিচয় হয় তখনকার শামসুর নাহার স্মৃতির সঙ্গে পরিচয় হয়। তার দাদা বাড়ি ও পরীমনির নানা বাড়ি পাশাপাশি। তখন নানা বাড়ি থাকতেন আজকের পরীমনি। তাদের মধ্যে একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
তিনি জানান, তারা ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল কেশবপুর কাজী অফিসে বিয়ে করেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত তারা একসঙ্গে ছিলেন। তার প্রতিবেশীরা পরীমনিকে দেখেছেন, প্রতিবেশীদের বাড়ি গেছেন তিনি (পরীমনি)।
সৌরভ জানান, তিনি ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি পরীমনিকে নিয়ে ঢাকার বনানী ও পরে বনশ্রীতে থাকতেন। পরীমনি কেশবপুর আসলে, পল্লব নামের একজন কেশবপুর আসতেন। পরে নজরুল নামের একজনের সঙ্গে পরীমনির পরিচয় হয়। তারা মডেল জগতের লোক।
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া জীবন বেছে নেয়ার কারণে তারা ২০১৪ সাল থেকে পৃথক বসবাস করে আসছেন। এখনও তাদের আনুষ্ঠানিক আইনগত তালাক হয়নি।
পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগ আছে কি না জানতে চাইলে সৌরভ বলেন, যদি কখনো ওর (পরীমনি) প্রয়োজন হয় তাহলে যোগাযোগ করে, ফোন দেয়। আমার কাছে কয়েকদিন আগে ফোন দিয়েছিল পরীমনি। আমাকে বলেন ‘তিনি যেন কারও কাছে কিছু না বলেন।’ তখন ঢাকা বোট ক্লাবে গিয়ে ঝামেলায় পড়েন পরীমনি।
পরীমনি ১৯৯২ সালের ২৪ অক্টোবর খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরায় শামসুন্নাহার স্মৃতি হিসাবে জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলায় মা সালমা সুলতানাকে ও বাবাকে হারানোর পর পরীমনি বড় হয়েছেন পিরোজপুরে নানা শামসুল হক গাজীর কাছে। সেখান থেকেই তিনি তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন।
বুধবার বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও মাদকসহ চিত্রনায়িকা পরীমনিকে আটক করে র্যাব। এরপর বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা মামলায় আদালত ইতোমধ্যে তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
Leave a Reply