ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৪ অপরাহ্ন
ফুফুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু

ফুফুর বাড়িতে মঙ্গলবার বেড়াতে যায় তিন বোন। শখের বসে বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে তারা বাড়ির পাশের যমুনেশ্বরী নদীতে গোসলে নামে। একপর্যায়ে ডুবে যায়। আশপাশের লোকজন তাদের উদ্ধার করে রিকশা–ভ্যানে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন বোনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাটি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার নাটারাম শেখপাড়া গ্রামের। মারা যাওয়া তিন বোন হলো উপজেলার ওসমানপুর বাহারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী রুবিনা খাতুন (১৫), শাহেদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী রাবেয়া বসরী (১০) ও বদরগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া খাতুন (১২)। রুবিনা ও রাবেয়া ওসমানপুর গ্রামের কৃষক রবিউল ইসলামের মেয়ে। আর সাদিয়া রবিউলের বড় ভাই স্কুলশিক্ষক সাইদুল ইসলামের মেয়ে।

থানা-পুলিশ, হাসপাতাল ও মৃত তিন বোনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে তিন বোন নাটারাম শেখপাড়া গ্রামে ফুফু কোহিনুর বেগমের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে তারা ফুফুর বাড়ির পার্শ্ববর্তী যমুনেশ্বরী নদীতে শখের বশে গোসলে নামে। একপর্যায়ে তারা ডুবে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী দুজন ঘটনা টের পেয়ে আশপাশের লোকজন নিয়ে নদী থেকে তিন বোনকে উদ্ধার করেন।

বিকেল পাঁচটার দিকে রিকশা–ভ্যানে করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তিন বোনকেই মৃত ঘোষণা করেন। লাশ দেখে রবিউল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়েন। স্বজনদের আহাজারিতে হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। উপস্থিত চিকিৎসক–নার্সসহ হাসপাতালের অন্য কর্মচারীরাও আপ্লুত হয়ে পড়েন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সানাউল হক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মস্পর্শী।

খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ছুটে যান বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘নদীতে ডুবেই তিন বোনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। শুনেছি, তারা শখ করে নদীতে গোসল করতে নেমেছিল। কোনো অভিযোগ না থাকলে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x