পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন দীর্ঘ তিন বছর ধরে নির্মাণ কাজ অব্যাহত থাকার পর ৬ মাস পূর্বে কাজটি সম্পন্ন হয়। হস্তান্তরের পূর্বেই দেখা দিয়েছে নির্মাণ কাজে বিভিন্ন ত্রæটি। ইতিমধ্যে ভবনের চারদিকে নির্মিত সুরক্ষা দেয়ালের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে, দেয়ালের ভিতরে অনেকগুলো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কোন সময় দেয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। দেয়ালের চারদিকে রাতের অন্ধকারে আলোর জন্য নির্মিত হয় বেশ কয়েকটি লাইট পোষ্ট। এর মধ্যে পিছনের একটি লাইট পোষ্ট হেলে গিয়ে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। মূল ভবনের পলেস্তরা ইতিমধ্যে নানান জায়গায় লবনাক্ততায় ফুলে উঠেছে, যে কোন মুহূর্তে মূল দেয়াল থেকে ধসে পড়তে পারে। এ ছাড়া ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আসা যাওয়ার জন্য নেই কোন সামনের সংযোগ সড়ক। সরেজমিনে পৌরসভার বালুর মাঠ সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, কয়েক মাস আগেই ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ভবনটির কাজ শেষ হয়। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তারা দেয়ালে ফাটল ও লাইটপোষ্ট হেলে পড়তে দেখে। কাজের মান নি¤œ মানের হওয়ার জন্যই এ রকম অবস্থ্া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
জানা যায়, সাড়ে তিন বছর পূর্বে ভবন নির্মাণের দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিউদ্দিন এন্টার প্রাইজ। ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থের পরিমান ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকার একটু বেশি।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধীকারি মো. মহিউদ্দিন আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবনের পিছনে ছোট একটি খাল খননের কারণে নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে হয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, বিল্ডিংতো আমরা এখনও বুঝে পাইনি। এর সম্পূর্ণ দায়িত্ব গণপূর্ত বিভাগের। তার পরেও আমি সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানাব।
এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ভবনের পিছনে এস্কেবেটর মেশিন দিয়ে ১৫ ফুট খাল খনন করায় দেয়ালে ফাটল ধরেছে এবং লাইটপোষ্ট হেলে গিয়ে থাকলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক করে দিবে।
Leave a Reply