কোনোভাবেই থামছে না করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি। এ অবস্থায় টিকাদান কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ গতি আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর আরেকটি কারণ হলো, মাঝে টিকার যে সংকট ছিল সেটা কেটে গেছে। তাছাড়া ২০২২ সালের শুরুতেই আসছে আরও ২১ কোটি ডোজ। সবমিলিয়ে নিশ্চিতভাবে টিকাদান কর্মসূচি চালিয়ে নিতে পারবে সরকার।
এতদিন কিছুটা অবজ্ঞা করলেও সংক্রমণ এবং মৃত্যুর উল্লম্ফন দেখে সাধারণ মানুষ করোনার টিকা গ্রহণের ব্যাপারে আগ্রহী হয়েছে। কিন্তু টিকা গ্রহণের প্রক্রিয়ায় এখনো যে জটিলতা বিদ্যমান, তার কারণে অনেকেই তা গ্রহণ করতে পারছেন না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে গ্রামে গ্রামে টিকা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
টিকা প্রয়োগের ক্যাম্পগুলো এখনো শহরকেন্দ্রিক। তাছাড়া দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হয় বলে অনেকে আগ্রহ দেখান না। তাই যত দ্রুত সম্ভব, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে টিকা পাঠিয়ে আদেশ দিয়েছেন আদেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলছেন, আগস্টের মধ্যে গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যন্ত পৌঁছে যাবে টিকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, ভাইরাসটি এখন প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই শুধু শহরকেন্দ্রিক চিন্তা করে এটিকে ঠেকানো যাবে না। তবে গ্রামে টিকা পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছু প্রতিবন্ধকতা আছে। যে তাপমাত্রায় টিকা সংরক্ষণ করতে হয় সেই ব্যবস্থা নেই। এই সমস্যার সমাধানে কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা যায়, এমন ভ্যাকসিনও আছে আমাদের কাছে। তবে সেটা খুব বেশি নয়। আপাতত সেই টিকা দিয়েই গ্রাম পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করতে চাই আমরা। আগস্টের ৭-৮ তারিখ থেকে কমিউনিটি ক্লিনিকে পরীক্ষামূলকভাবে টিকাদান শুরু হবে। ১৫ তারিখ থেকে এটা পুরোদমে চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।