ঢাকা, রবিবার ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন
লাখাই হাওরে চলছে মা মাছ নিধন, প্রশাসনের নেই কোন অভিযান
আশীষ দাশ গুপ্ত, লাখাই, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হাওর অধ্যুষিত এলাকা লাখাই  উপজেলার নদী ও খাল-বিল এখন বর্ষার পানিতে টইটুম্বুর। বর্ষার পানি আসার সঙ্গে সঙ্গে মৎস্য ভান্ডার খ্যাত দেশের অন্যতম উপজেলা এটি। উপজেলায় ছোট বড় প্রায় ৫টি নদী ৫১টি বিল ১০টি খাল হাওর রয়েছে। এর মধ্যে বৃহত্তর  ধলেশ্বরী নদীর হাওরের আয়তন বড়  ও সুতাং নদী বলবদ্র নদী, কলকলিয়া নদী  হাওর । তাই এসব হাওরে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, বাদাই জাল  প্লাস্টিকের খাঁচাসহ নানা উপকরণ দিয়ে অবাধে চলছে মা ও পোনা মাছ নিধন। হাট-বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে অবৈধভাবে ধরা এসব দেশীয় প্রজাতির মাছ। আর প্রতি বছরের মতো এবারও নিশ্চুপ মৎস্য বিভাগ।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার  ধলেশ্বরী  নদী কলকলিয়া নদী, জরিপপুর শিবপুর বুল্লা হাওরে বিভিন্ন বিলসহ উন্মুক্ত জলাশয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, মশারি দিয়ে তৈরি নেট জাল, বেড় জাল ও প্লাস্টিকের খাঁচাসহ নানা উপকরণ দিয়ে মা মাছ ও পোনা মাছ নিধনে মেতে ওঠেছে এক শ্রেণির অসাধু মৎস্য শিকারি। শৈল, টাকি, টেংরা, বাম, এমন কি মৎস্য অফিস থেকে উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা ধরতেও দ্বিধাবোধ করছেন না তারা। করোনাকালীন অলস সময় কাজে লাগিয়ে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের মাছ শিকারের প্রবণতা আরও বেড়েছে। জানা গেছে, উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন বাজারে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি টেংরা চারশ থেকে চারশ পঞ্চাশ , পুঁটি তিনশ, মোয়া মাছ তিনশ থেকে চারশ, ডিমওয়ালা বোয়াল ছয়শ থেকে এক হাজার, শৈল বা টাকি মাছের পোনা তিনশ থেকে চারশ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা মৎস্যজীবিদের সাথে কথা হলে তারা জানান,  বাজারে বিভিন্ন গ্রাম থেকে নানান প্রজাতির মা ও পোনা মাছ ধরে নিয়ে আসা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় অনেক প্রজাতির মাছ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ভবিষ্যতে চাষ ব্যতীত দেশী মাছ পাওয়াও কঠিন হবে। স্বজনগ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহাজান মিয়া বলেন, দশ বছর আগের যে মাছ দেখেছি এখন অনেক মাছও বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যেভাবে মা মাছ ও পোনা নিধন হচ্ছে ভবিষ্যতে এর খেসারত দিতে হবে। রুহিতনসী গ্রামের বি এইচ এম রানা তালুকদার  বলেন, হাওরে সকাল থেকে শেষ রাত পর্যন্ত  প্রকাশ্যে বিভিন্ন ধরনের জাল দিয়ে মা ও পোনা মাছ নিধন হচ্ছে।

লাখাই  উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ ইদ্রিস তরফদার  বলেন, এখন লকডাউন থাকায়  কাজ ও  অভিযান পরিচালনা করতে কোন অর্থ  বরাদ্দ সরকার থেকে দেওয়া হয়নি । লকডাউনে থাাকা  ইউএনও স্যার ব্যস্ত অভিযান পরিচালনা করতে  পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেট  এর প্রয়োজন  তাও সংকট।    মোবাইল কোর্ট করার ব্যবস্থা করা হবে। তবে  । অসাধু মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

x