ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
রায়গন্জের কৃষকদের একমাত্র ভরসা নেপিয়া জাতের ঘাঁস
মোঃ মোকাদ্দেস হোসাইন সোহান, রায়গন্জ, সিরাজগন্জঃ-

সিরাজগন্জের রায়গন্জের কৃষকদের গৃহপালিত পশু পালনে এই মূহর্তে একমাদ্র ভরসা নেপিয়ার জাতের ঘাঁস।অতিবর্ষণ এবং করোনার সময়ে লকডাউনের কারনে গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা যখন নিজ নিজ পরিবারের ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন  ঠিক তখনই গৃহপালিত পশুদের গোখাদ্য সংকটের বিষয়টি তাদের বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।খড়ের সংকট নিরসনে নিমগাছি,ভূইয়াগাতী,সোনাখাড়া,ধুপিল,চান্দাইকোনা,ভ্রম্যগাছা,পাংগাশীসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন নেপিয়ার জাতের ঘাঁস চাষ করা হচ্ছে।এ ঘাঁস উচু জমিতে সারা বছরই চাষ করা যায়। নেপিয়ার ঘাঁস বর্ষায় ভাল জন্মে। আঁশযুক্ত,পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে চাহিদা ব্যাপক। এ ঘাঁস খেলে গাভীর দুধ বৃদ্ধি পায়, ষাড়ের মাংস বৃদ্ধি পায়। এক শতাংশ জমিতে এ ঘাঁস চাষ করলে সারা বছর একটা গাভীর খাবার হয়ে যায়।

একবার কেটে নিলে ঘাঁস মড়েনা বরং কাটা অংশ থেকে পুনরায় কুঁড়ি জন্মে আবার তা পূর্নাঙ্গ ঘাঁসে পরিণত হয়।কঠোর ভাবে স্বাশ্হ্যবিধি মেনে সরেজমিন ঘুরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়,গোখাদ্য সংকট এবং নেপিয়ার জাতের ঘাঁসে কৃষকদের একমাদ্র ভরসার বিষয়টি ফুটে উঠেছে। কথা হয় উপজেলার দিয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক মোঃজসিম উদ্দিনের সাথে,তিনি বলেন,মানুষের বর্গা নেওয়া জমিতে নেপিয়ার ঘাস চাষ করছি,গৃহপালিত পশুর চাহিদা মিটিয়েও স্হানীয় বিভিন্ন বাজারে সকাল-বিকেলে বিক্রি করেই সংসারের যাবতীয় চাহিদা মেটানো হচ্ছে।এই মূহরতে নেপিয়ার জাতের ঘাঁসই একমাদ্র ভরসা।স্হানীয় এলএসপি কর্মকর্তা মোঃরকিবুল ইসলাম জানান,বৈশাখ-জৈষ্ট্য মাসে রোপন করলে ভাল হয়।রায়গন্জে বর্তমানে গৃহপালিত পশু খাদ্যের জন্য নির্ভরতার আরেক নাম নেপিয়ার জাতের ঘাঁস।

দ্রুত বর্ধনশীল, উৎপাদন খরচ খুবই কম ও লাভজনক হওয়ায় এলাকার চাষিরা দিনদিন নেপিয়ার জাতের ঘাঁস চাষাবাদের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। এতে কৃষকরা যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে গোখাদ্য সংকট নিরসনেও ভূমিকা রাখছেন।

x