ঢাকা, বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন
সুন্দরগঞ্জে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত
জুুয়েল রানা, সুুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা কাবাডি। যা দিনে- দিনে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামের নতুন প্রজন্ম যেনো কাবাডি খেলার নিয়ম টাও বলতে পারেনা। তাই গ্রামবাংলার জনপ্রিয় খেলাকে নতুন প্রজন্মদের আগ্রহী করে তুলতে গাইবান্ধার সুুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জিগাবাড়ী গ্রামের আয়োজনে ঈদুল আযহা আনন্দ উদযাপন উপলক্ষে শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় কাবাডি খেলার এক প্রতিম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,  চাঁন মিয়া, মিঠু মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

হা-ডু-ডু খেলায় যে দুটি দল অংশ গ্রহণ করেন,  জিগাবাড়ী তালুক বেলকা গ্রাম বনাম রামডাকুয়া বেকরির চর গ্রাম। খেলার নির্ধারিত ৫০ মিনিটে রামডাকুয়া বেকরিচর গ্রামকে হারিয়ে জিগাবাড়ী তালুক বেলকা গ্রাম বিজয়ী হয়। খেলাটি পরিচালনা করেন, মাহাবুর রহমান ও সঞ্চালনায় মান্নান মিয়া। মজিবুর রহমান মজি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় খেলা এবং গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী কাবাডি বা হা-ডু-ডু খেলা।

আর এই খেলার উৎপত্তি এই গ্রামাঞ্চল থেকেই। বর্তমানে বাংলাদেশের ক্রিড়া জগতে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট এবং ফুটবল। ফুটবলে জাতীয়ভাবে আমাদের তেমন সাফল্যে না থাকলেও ক্রিকেটে সাফল্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশকে বিশ্বের অনেক দেশের মানুষ এখন চেনে সাকিব-তামিমের মতো খেলোয়াড়দের পরিচয়ে।

তবে, এত প্রাপ্তির মধ্যে কোথায় যেন একটা আত্মতৃপ্তির স্বাদ নেই বলে মনে হয়। এত জনপ্রিয়তার মধ্যে হারিয়ে গেছে আমাদের গ্রামবাংলার এক সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কাবাডি বা হা-ডু-ডু। এমনকি বর্তমানে স্কুল- কলেজে পড়ুয়া অধিকাংশ ছেলে-মেয়ে স্বচক্ষে কখনো কাবাডি খেলা দেখেনি। অনেকে আবার এর নিয়ম সম্পর্কেই জানে না।

পাঠ্যপুস্তকের শারীরিক শিক্ষা প্রথমবারের মতো কাবাডি খেলার সাথে পরিচিত হয়। কিন্তু আসলে কি এটি হওয়া উচিৎ? যেহেতু হা-ডু-ডু আমাদের জাতীয় খেলা, সেহেতু ছোটবেলা থেকেই এই খেলার সাথে আমাদের পরিচিত হওয়া উচিৎ।্#৩৯;তাই আজ এই কাবাডি খেলার আয়োজন করা হয়েছে। তবে কাবাডি খেলার প্রচলনকে ধরে রাখার জন্য নানা ধরনের টুর্ণামেন্টর আয়োজন করা দরকার। এজন্য তরুণ প্রজন্ম আগ্রহী হচ্ছে কাবাডি খেলার প্রতি। এই বিষবৃদ্ধিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা ও উদ্যোগ গ্রহণ করা। তাহলে একদিকে খেলোয়াড়রা যেমন উৎসাহিত হবে, তেমনি খেলার জনপ্রিয়তা  পাবে। খেলা শেষে বিজয়ী দলকে নগদ অর্থ পুরস্কার হাতে তুলে দেন অতিথিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x