গাজীপুরের শ্রীপুরে ঈদের রাতে বাড়িতে ডুকে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়ন্স হাসপাতালে নেয়া হলে অবশেষ শুক্রবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মাসুম আহমেদ (২৮)। ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে সদ্য পাশ করা প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ পৌরসভার বেড়াদেরচালা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের সন্তান। তিনি ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ও মেধাবী ছাত্রনেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
স্বজনরা জানান, ঈদের রাতে ইজারা নেয়া চামড়ার বাজারের খুঁজ খবর নিয়ে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেয়ার পর তার বন্ধু জোবায়ের তাকে রাত প্রায় ৩ টার দিকে তার বাড়ির সামনে নামিয়ে চলে যায়। ঘরের তালা ভেঙে আগে থেকেই ঘরে অবস্থান নিয়ে উৎপেতে থাকে ঘাতকরা। মাসুম ঘরে ডুকতেই তার উপর হামলা চালায় দূর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি মারধর, কুপিয়ে মৃত ভেবে ফেলে চলে যায় দূর্বৃত্তরা। এসময় বাড়ির অন্যান্য ঘরের বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে রাখে দূর্বৃত্তরা। মাসুমের চিৎকার চেচামেচি শুনে আশেপাশের লোকজন এসে বাহির থেকে আটকানো দরজা খুলে দেয়। পরে তারা রক্তাক্ত মারাত্মক আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যান। তার অকাল মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গন সহ এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শুক্রবার সন্ধা ৬ টায় জানাজা নামাজের পর পারিবারিক কবরস্থানে তার মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও সমবেদনা জানিয়ে অনতিবিলম্বে খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ জানান, অপরাধ করে কেউ পার পাবেনা। পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। খুব শীগ্রই খুনের রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।