গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় মারধর ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে নিহতের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে আসামী করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা মামলাকে ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।
শুক্রবার(২৩ জুলাই) দুপুরে বোয়ালী ইউনিয়নের বাটিকামারী গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান জাহিদুল ইসলাম জাহিদের পরিবার। তাদের দাবি, গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালের ডাক্তারদের অবহেলার কারনে জাহেদা বেগমের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে স্বজনরা প্রতিবাদ করলে ডাক্তাররা উত্তেজিত হয়ে তাদের মারধর করার চেষ্টা করে। পরে মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে নিজেরাই হাসপাতালের ইমারজেন্সি রুমের আসবাবপত্র ভাংচুর করে নিহতের ছেলে জাহিদের নামে মামলা করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য: গত ১৮ জুলাই গাইবান্ধা জেলা সদর হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হামলা মারপিট ও ভাংচুুরের ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান , গাইবান্ধা সদরের বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম বাটিকামারী গ্রামের আলতাফ হোসেনের স্ত্রী জাহেদা বেগম (৫৫) কে মুমুর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। কিন্তুু দুপুরে যথারীতি হাসপাতালের ল্যাব বন্ধ থাকায় তাদের বাইরে রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রক্ত পরীক্ষা করার পর বিকেলে তাকে আবার হাসপাতালে আনা হয়। পরবর্তীতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রোগীর স্বজনদের দাবী, রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসলে তিনি রিপোর্টে রক্ত স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে রক্ত সংগ্রহের কথা বলেন। তারা রক্ত যোগার ও ক্রসম্যাচ করে এনে জানতে পারেন জাহেদা মারা গেছেন। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি না করায় চিকিৎসার অভাবে অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
পরে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারধর ও ভাংচুরের ঘটনায় জাহিদুল ইসলাম জাহিদের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও,) ডাক্তার হারুন অর রশিদ।