ঢাকা, শনিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৫৮ পূর্বাহ্ন
স্ত্রীকে শরীরে এসিড পুশ করে হত্যা- পাষন্ড স্বামী কারাগারে
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

স্ত্রীকে শরীরে এসিড পুশ করে হত্যা- পাষন্ড স্বামী কারাগারে

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে আদালতে হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে, মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার দুধখালী গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নুর হোসেন একই গ্রামের লিয়াকত হোসেন খানের ছেলে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, দুই বছর আগে সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের খালাসিকান্দি গ্রামের নুরুল ইসলাম মুন্সীর মেয়ে রোজিনার ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় দুধখালী গ্রামের লিয়াকত হোসেন খানের ছেলে নুর হোসেন খানের। এরপর পরই নুর হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ দাবি করে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানায় রোজিনার পরিবার। পরে রোজিনার উপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুলাই রাতে রোজিনাকে মানসিক নির্যাতন শুরু করে নুর হোসেন। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে রোজিনা। একপর্যায়ে ঘরে থাকা ব্যাটারিতে ব্যবহৃত এসিড ইনজেকশনের মাধ্যমে রোজিনার শরীরের পুশ করা হয়। এতে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে রোজিনা। পরদিন সকালে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে রোজিনাকে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (১৭ জুলাই) রাত ৮ টার দিকে মারা যায় রোজিনা।

এই ঘটনায় নিহত গৃহবধূ রোজিনার বড়ভাই নাসির উদ্দিন মুন্সী বাদী হয়ে সোমবার রাতে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় নুর হোসেন খানকে প্রধান করে ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। পরে অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্ত নুর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

আইনি প্রক্রিয়া শেষে নুর হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিচারক ফয়সাল আল মামুনের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালতের বিচারক।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মো. হাসানুজ্জামান জানান, নিহতের বড় ভাই বাদী হয়ে মামলা দিলে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার নুর হোসেন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

মাদারীপুর জজ কোর্টের পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) রমেশ চন্দ্র দাস জানান, নুর হোসেন আদালতে ঘটনার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x