ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
কুকুরের কামড় খেয়ে মামলা, ২ কুকুরের ‘মৃত্যুদণ্ড’
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

কুকুরের কামড় খেয়ে মামলা, ২ কুকুরের ‘মৃত্যুদণ্ড’

পাকিস্তানের করাচিতে মর্নিং ওয়াকের সময় এক ব্যক্তিকে আক্রমণের দায়ে জার্মান শেফার্ড প্রজাতির দুটি পোষা কুকুরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মালিকের সঙ্গে হামলার শিকার ব্যক্তির সমঝোতার শর্ত হিসেবে বিষপ্রয়োগে কুকুর দুটির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত মাসে কুকুরগুলো মির্জা আখতার আলী নামের একজন প্রবীণ আইনজীবীর ওপর হামলা করেছিল। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন মঙ্গলবার এখবর জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, মির্জা আখতার আলি হাঁটতে বের হলে স্থানীয় হুমায়ুন খানের দুটি জার্মান শেপার্ড তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত হন ওই আইনজীবী। কুকুরের হামলার ঘটনাটি সিসিটিভির ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ভাইরাল হয়।

ভিডিওতে দেখা গেছে, কুকুর দুটি মির্জা আখতারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেয়। এসময় তিনি নিজেকে রক্ষায় ব্যর্থ চেষ্টা করছিলেন। কুকুর মালিকের ছেলের হস্তক্ষেপ করার পরই নিস্তার পান তিনি। এসময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্ত ঝরছিল।

সমালোচনার মুখে বিষয়টি আপসে মিটিয়ে নিতে আইনজীবীকে অনুরোধ করেন কুকুর দুটির মালিক। আইনজীবী কয়েকটি শর্তে তাকে ক্ষমা করতে রাজি হয়েছেন। শর্তগুলো হলো- কুকুর মালিক হুমায়ুন খান এ ঘটনার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইবেন। বাড়িতে আর কোনও বিপজ্জনক বা উগ্র কুকুর পুষবেন না। হামলাকারী দুটি কুকুরকে অবিলম্বে একজন পশুচিকিৎসক দিয়ে ‘মানবিকভাবে হত্যা’ করতে হবে। চুক্তির আরেকটি শর্ত ছিল, মালিককে স্থানীয় একটি পশুর আশ্রয় কেন্দ্রে ১০ লাখ রুপি দান করতে হবে।

কুকুর মালিক ও হামলার শিকার আইনজীবীর মধ্যকার এই সমঝোতাকে অসঙ্গত বলে আখ্যায়িত করেছেন মানবাধিকার কর্মীরা।

এই ঘটনায় স্থানীয় দারাক্ষণ পুলিশ স্টেশনে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গ্রেফতারের আগেই কুকুর মালিক জামিন পেয়ে যান। তবে তার কর্মী পুলিশের কাস্টডিতে ছিলেন।

x