গাইবান্ধায় ওসি’র অপসারণ চেয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি’র অপসারণ, দায়ী পুলিশসহ সকল আসামীর গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ, গাইবান্ধা।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহরের গানাসাস মার্কেটের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক মিহির ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক জনি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী আন্দোলনের জেলা সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ, কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি মোস্তফা মনিরুজ্জামান, বাসদ সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা নেতা এ্যাড. আশরাফ আলী, ওয়ার্কার্স (মার্কসবাদী) জেলা নেতা মৃণাল কান্তি, সাবেক ছাত্র নেতা ও প্রগতিশীল ব্যক্তিত্ব শহিদুল ইসলাম, সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর কবীর তনু, সাবেক প্যানেল মেয়র জি.এম চৌধুরী মিঠু, মানবাধিকার কর্মী অঞ্জলী রানী দেবী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের গাফলতি ও দায়িত্বহীনতার কারণে ব্যবসায়ী হাসান আলী এমন নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছে। তারা অবিলম্বে ওসিসহ দায়ি পুলিশ ও সকল আসামীদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান। তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সদর থানার ওসি’র বদলী আদেশের দেড়মাস পরেও স্বপদে বহাল কিভাবে থাকে। ফলে গাইবান্ধার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এরমধ্যে আরও দুটি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। তারা বলেন, হাসান হত্যার পর যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলে এই হত্যাকান্ড হত না। তারা সকল হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য গত ১০ এপ্রিল একমাস অপহরিত থাকার পর দুর্বৃত্ত মাসুদ রানার বাড়ীতে ব্যবসায়ী হাসান আলীর মৃত্যু হয়। নিহত হাসানের স্ত্রী সদর থানায় স্বামীকে উদ্ধারের মামলা করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় এনে আবার মাসুদ রানার জিম্মায় দেয়। পরে সেখানে তার নির্মম মৃত্যু হয়।
এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে গাইবান্ধার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের উদ্যোগে হরতাল, অবরোধ, অবস্থান কর্মসূচিসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে।