ঢাকা, বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
গাইবান্ধায় ঈদকে সামনে রেখে  ব্যস্তসময় পার করছে কামারশিল্পীরা 
সুমন কুমার বর্মন, গাইবান্ধা প্রতিনিধি :
আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গাইবান্ধার কামার সম্প্রদায়।
কোরবানির পশু জবাই সংক্রান্ত উপকরণ ছুরি, দা, বটিসহ বিভিন্ন ধারালো জিনিস তৈরিতে এখন ব্যস্ত এ জেলার প্রায় ৩ শতাধিক কামার শিল্পী। এসব ধারালো অস্ত্র চাহিদামতো সরবরাহে কামার শিল্পীরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন।
ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে বিক্রি ততো বেশি হবে বলে জানান তারা।  জানা যায়, আশির দশকের শুরু থেকে এখানে ব্যবসা শুরু করেছেন দা, বটি, কাস্তে, ছুরি তৈরির কারিগররা।
আর জবাই করার অন্যতম এসব উপাদান বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কোরবানির সময়টাতেই ব্যবহার হয় বেশি। সেই সঙ্গে বেড়ে যায় তাদের আয়-রোজগারও। সারা বছর তাদের দুর্দিন থাকলেও কোরবানিকে কেন্দ্র করে তাদের সুদিন ফেরে। কিন্তু করোনার কারনে এবার বেচা বিক্রিতে কিছুটা ভাটা পড়তে পারে বলে তাদের শঙ্কা।
কামারপট্টি গুলো ঘুরে দেখা যায়, পশু কোরবানির নানা উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত কামাররা শিল্পীরা।
দারিয়াপুরের মঞ্জা কামারশিল্পী বলেন, আমরা দা, বটি, চাপাতি, ছুরিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি  করে জেলার বাহিরে সরবরাহ করে থাকি। বর্তমানে প্রতি পিস বটি পাইকারি ৩০০ টাকা, খুচরা ৪০০-৩৫০ টাকা, চাপাতি পাইকারি ৪৫০, খুচরা ৫০০ টাকা, ছুরি সর্বনিম্ন ১২০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৭০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে জবাই করার ছুরি ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বছরে একবারই চাপাতি, ছুরি, বটির চাহিদা বেশি থাকে। এজন্য আগে থেকেই এগুলোর মজুদ করে রাখা হয়।
তবে কামারপট্টির কারিগর অভিযোগ করেন, তাদের পরিশ্রমের তুলনায় মজুরি অনেক কম। সারা দিন আগুনের পাশে বসে থাকতে হয়।
তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গাইবান্ধায় কমে যাচ্ছে কামার সম্প্রদায়। বাধ্য হয়ে পৈত্রিক পেশা পরিবর্তন করছে অনেকে।
খোলাহাটি ইউনিয়নের একাধিক কামারশিল্পী বলেন, সারা বছর আমাদের মোটামুটি বিক্রি হয়। তবে এই সময় বিক্রি হয় সবচেয়ে বেশি। তবে উৎপাদন ও প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় লাভ আগের চেয়ে কম হচ্ছে।
কামারশিল্পীদে দাবি সরকারী ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করলে তারা তাদের পৈত্রিক পেশাটাকে টিকিয়ে রাখতে পারবেন বলে তাদের অভিমত।
x