আশীষ দাশ গুপ্ত লাখাই হবিগঞ্জ প্রতিনিধি।। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পশু জবাই ও মাংস জাতকরন সরঞ্জাম তৈরীর ধুম পড়েছে। বাজারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে প্রচীন কর্মকার শিল্পীরা। দিন রাত দা সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরীর শব্দে মুখরিত উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার। উপজেলার লাখাই বাজার, বুল্লা বাজার, মোড়ামুড়ি বাজার,সহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পেশাদার কর্মকার শিল্পীরা দা, বটি, চাকু, ছোরা, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে কর্মকাররা।
কার্মকার শিল্পীরা জানান, বর্তমানে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারের ফলে দেশিয় তৈরি এসব পুরনো উপকরণ আর তেমন ব্যবহৃত হচ্ছে না। প্রযুক্তি নির্ভর লোহার তৈরি পুরনো সব উপকরণের যোগ্যতা এখন আর নেই বললেই চলে। কর্মকার শিল্পীদের প্রায় সারা বছর মন্দাভাব নিয়েই সংসারের গ্লানি টানতে হয়।
কিন্তু প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে এক-দেড় মাস মহাব্যস্ত সময় পার করে কর্মকার শিল্পীরা। লাখাই বাজরের অনজন কর্মকার জানান, এক সময় লোহা আগুনে পুড়িয়ে দা, বটি, , চাকু, ছোরা, বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরিতে আমরা যথেষ্ট চাহিদা ছিল। কিন্তু বর্তমানে চাহিদার নেই বললেই চলে। কিছু পুরাতন জিনিস নিয়ে আসে এ গুলো টিক টাক করে দেই।
মেশিনের সাহায্যে বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রপাতি তৈরি হচ্ছে। ফলে আমাদের তৈরি যন্ত্রপাতির প্রতি মানুষ দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তিনি আরও জানান, হয়ত এক সময় এই পেশা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তবে কোরবানির ঈদের সময় আমরা একটু আশাবাদী হই।
সারা বছরের তুলনায় কোরবানির ঈদের সময় রোজগার অনেক বেশি হয়। করোনা মহামারী পরিস্থিতি দোকান বন্ধ থাকায় কাজ কম স্থানীয় গোপেশ কর্মকার জানান, বাপ-দাদার কালের এই পেশা আমি তাদের কাছেই শিখেছি। লেখাপড়া না জানার কারণে অন্য কোনো কাজে যেতে পারি না। সারা বছরই সংসারে অভাবে চলে। অন্য কোনো কাজ জানাও নেই। সারা বছর তেমন কোনো কাজ না থাকলেও কোরবানির সময় আমাদের কাজের চাহিদা অনেকগুণ বেড়ে যায়। কোরবানির ঈদের সময়টুকুতে সংসার নিয়ে একটু ভালো থাকি।
এ ব্যাপারে বিভিন্ন হাটের কর্মকার শিল্পীরা জানায়, এই পেশায় যারা আছে তারা খুবই অবহেলিত। বর্তমান বাজার মূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি সে অনুযায়ী তারা কাজের ন্যায্য মূল্য পায় না।
এই পেশায় থেকে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয়। কর্মকার শিল্পীরা মনে করেন সরকারি পৃষ্টপোষকতা কোনো আর্থিক কোনো সহযোগিতা না পেলে এ শিল্প হয়ত অচিরেই হারিয়ে যাবে। এ ছাড়া বৈশ্বিক করোনা মহামারীর কারণে লকডাউন থাকায় দোকানগুলো দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ রাখতে হয়েছে। এর ফলে ব্যাপক লোকসান গুনতে হয় স্থানীয় কর্মকারদের।
লাখাইয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ শাহাজান মিয়া জানান, আসলে এই দা, ছুরি ও চাপাতি তৈরির পেশার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আয় খুবই কম। এখন মানুষ মিশিনের তৈরি বিদেশি জিনিস কিনে পেলায় কর্মকারের তৈরি জিনিসের মান কমিয়ে দিয়েছে। করোনার কারণে এবার তাদের কাজ খুবই কম। তাই কর্মকারদের বাঁচাতে হলে সরকার তাদের পুনর্বাসন করা জরুরি।
… [Trackback]
[…] Find More on that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] There you will find 44888 more Info on that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Read More on on that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] There you will find 24666 additional Info to that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Find More to that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Info to that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Find More Information here on that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Find More to that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Read More here on that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]
… [Trackback]
[…] Information on that Topic: doinikdak.com/news/36107 […]