গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে হতদরিদ্রদের মাঝে ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে ২১০ জন দুস্থ নারীকে ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এবার সেই জায়গায় ৪-৬ কেজি করে চাল কম দেয়া হয় কার্ডধারীদের। এতে ৩০ কেজি ওযনের প্রতিটি চালের বস্তা দেয়ার নিয়ম থাকলেও তা দেয়া হয়নি। বরং প্রতিটি বস্তা থেকে ৪-৬ কেজি করে চাল বের করে নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের লোকজন।
রোববার সরেজমিনে গেলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কার্ডধারী জানান, ভিজিডির চাল ৩০ কেজি করে দেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ৪ থেকে ৬ কেজি করে চাল কম দিয়ে ২৪/২৬ কেজি করে চাল দিচ্ছে। এনিয়ে প্রতিবাদ করলে আগামীতে তাদেরকে চাল দেয়া বন্ধ করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়।
আছিয়া বেগম নামের একজন কার্ডধারী বলেন, ‘হামাক ৩০ কেজি চাউলের বস্তা না দিয়ে বালতি দিয়ে চাউল দিছে। সে চাউল মাপিয়ে দেখি ২৫ কেজি হয়।’
কার্ডধারী শিল্পী বেগমের স্বামী বাহার উদ্দিন বলেন, ‘হামাক যখন চাউল দিছে তখন চেয়ারম্যান আছিল। বালতি দিয়ে চাল মাপি দিছে। সেই চাল পনে ২৭ কেজি হইছে।’ইউপি চেয়ারম্যান নজমুল হুদা বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব ফালতু অভিযোগ। রিলিপের চাল আমি খাইনা আর কাউকে কখনো কম দেয়া হয়না।’উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুমি কায়সার বলেন, ‘ভিজিডির চাল বিতরণে অনিয়মের বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। কোন কার্ডধারী অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, ‘চাল কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। আর যদি কম দিয়ে থাকে তাহলে চেয়ারম্যানের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে দেখবো।’