ঢাকা, শনিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
`কঠোর লকডাউন’ শিথিল কতোটা যৌক্তিক?
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৭৬৮ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আর নতুন করে ২২০ জনের মৃত্যুতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৩৯ জন। এই দিনেই সারাদেশে লকডাউন শিথিল করার ঘোষণা এসেছে।

আগামী ১৫ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ‘কঠোর লকডাউন’ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করবে, খোলা থাকবে শপিংমল ও দোকানপাট। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

করোনার এই চুড়ান্ত সময়ে এই সিদ্ধান্ত কোন পরিণতি ডেকে আনবে, তা বুঝতে হয়তো আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক কী কারণে এই শিথিলতা, তা প্রজ্ঞাপনে ব্যাখ্যা করা হয় নি। গেলো ঈদুল ফিতরের আগে পরে বিধিনিষেধের মধ্যে জনগণ নানা ভোগান্তি মাথায় নিয়ে ঈদযাত্রা করেছিল। জনগণের সিদ্ধান্ত ও সরকারের ভুমিকা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। একদল বলছিলেন, জনগণের মোটেও উচিত হয়নি বিধিনিষেধের মধ্যে যাত্রা করা। আবার আরেকদল বলছিলেন, সরকারের উচিত ছিল স্বাস্থ্যবিধি মেনেই গণপরিবহন চালু রাখা। সেই প্রেক্ষিতেই হয়তো এই সিদ্ধান্ত।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার ভারতীয় ধরন ডেল্টার ভয়াবহ প্রকোপে বেহাল অবস্থা সারাদেশে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলো ছাড়াও প্রায় প্রতিটি জেলায়ই সংক্রমণ ও মৃত্যু দুইই বাড়ছে। অনেক হাসপাতালে আইসিইউ খালি নেই, নেই সাধারণ করোনা বেডও। অক্সিজেনের অভাব ও সরবরাহ বাড়াতে সরকারি বেসরকারি তৎপরতা গণমাধ্যমে উঠে আসছে। সবমিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল, শপিংমল ও দোকানপাট খোলা থাকার কথা থাকলেও তা কতোটুকু কার্যকর হবে, তা নিয়ে আমাদের যথেষ্ট সন্দেহ কাজ করছে। যেহেতু এবারের সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঢেউ রাজধানীর বাইরের জেলাগুলোতে বেশি, তাই ঈদের আগে পরে তা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে বলে আমাদের শঙ্কা। সাধারণ জনগণকে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। নাহলে হয়তো করোনা পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের মতো করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

x