ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৮ অপরাহ্ন
আটক হলেই দেখাচ্ছে মিথ্যা অজুহাত
জয়নাল আবেদীন রিটন, ভৈরব প্রতিনিধি

ঔষধসহ নিত্য ব্যবহার্য পণ্য ছাড়া দোকানপাটও বন্ধ ঘোষণা করেছে। সরকারের নিষেধাজ্ঞা পালন করতে র‌্যাব , পুলিশ , সেনাবাহিনী ও বিজিবি সহ  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী উপজেলার সর্বত্র টহল দিচ্ছে। কিন্তু সরকারি এসব বিধি-নিষেধ মানছেননা ভৈরবের অধিকাংশ মানুষ। মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি মানা, অপ্রয়োজনে বাডির বাহির না হতে মাইকিংসহ বিভিন্ন ভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে অপ্রয়োজনে বাডির বাহির হচ্ছেন অনেকেই। প্রশাসন জিজ্ঞেস করলে দেখাচ্ছে মিথ্যা অজুহাত। আর মাস্ক পরিধান যারা করছেন তাও আবার গলায় বা থুতুনিতে ঝুলানো। বলতে গেলে কঠোর লকডাউন পালন না করে মানুষ পালন করছে ঢিলেঢালা লককডাউন।

করোনার সংক্রমন রোধ করতে সরকার গত ১ লা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে। এই সময় জরুরি সেবা ও পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্যান্য পরিবহন চলাচলে রয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা। ৫টি চেক পোষ্ট ২ টি মোবাইল টিম নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনী। এর পরও সর্বত্রই চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সা, মিশুক, সিএনজি, মাইক্রোবাসসহ মোটরসাইকেলে যাত্রী চলাচল। বর্তমানে করোনার সংক্রমন দিন দিন ভৈরবে বেড়েই চলেছে। বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে নেয়া হচ্ছে আইনের আওতায়। ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃতরা মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপনা করে থাকে যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। উপজেলা প্রশাসন শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত গিয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে বুঝাতে চেষ্টা করছেন কোনটা করা উচিত আর কোনটা অনুচিত। পাশাপাশি যারা কর্মহীন হয়ে গেছে এ সকল কর্মহীন ব্যক্তিদের পর্যায়ক্রমে প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রান পরিচালনার কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য বিধি মানা অনেক জরুরী। জনগণ যদি সরকার ঘোষিত লকডাউন যথাযত ভাবে পালন করে তাহলে সংক্রমনের হার অনেক কমে আসবে এমনটাই জানান সংশ্লিষ।ট কর্মকর্তারা।

ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো ঃ ও সি শাহিন বলেন, আমরা ভৈরবে ৫টি চেক পোষ্ট ২ টি মোবাইল টিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তাদের নিয়ে সার্বক্ষনিক টহল দিয়ে যাচ্ছি । মানুষ যেন অপ্রয়োজনে বাহিরে না এসে বাড়িতে অবস্থান করে সেজন্য আমরা বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। যারা বাহিরে চলাফেরা করছে তাদের আমরা ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করছি। আমাদের আপ্রান চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও মানুষ তা মানছেননা। ভ্রাম্যমান আদালতে আটককৃতরা মিথ্যা অভিযোগ উপস্থাপনা করে থাকে যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা বলেন, একই ভাবে আমরা যখন ৩য় ঢেউ মোকাবেলা করছি । আমরা মানুষকে সচেতন করার জন্য মাইকিং, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যসহ বিভিন্ন ভবে প্রচারনা করছি। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষ যেন মাস্ক পড়ে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে আর প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ বাড়ির বাহিরে না যায়। পাশাপাশি যারা কর্মহীন হয়ে গেছে এ সকল কর্মহীন ব্যক্তিদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে ত্রান পরিচালনার কার্যক্রমও চালিয়ে যাচ্ছি।  বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্য বিধি মানা অনেক জরুরী।

সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিমাদ্রী খিসা বলেন, করেনায় মৃতের সংখ্যা ২ শর উপর ছাড়িয়েছে। আর এ করোনা মোকাবেলায় সরকার কঠোর লকডাউন দিয়েছে। কঠোর লকডাউন আসলে কেউ মানছেনা। কেউ কেউ আবার পুরনো প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় যাতে মোবাইল কোর্টে আটক হলে সহজেই ছাড়া পায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো ঃ খোরশিদ আলম জানান, গত ১লা জুলাই থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশে লকডাউন চলছে। এ অবস্থায় আমরা যা দেখছি সেটা আসলেই কাম্য নয়। প্রয়োজন ছাড়া আমরা যেন বাহিরে না গিয়ে ঘরে অবস্থান করি। জনগণ যদি সরকার ঘোষিত লকডাউন যথাযত ভাবে পালন করে তাহলে আশাকরি সংক্রমনের হার অনেক কমে আসবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x