ঢাকা, বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহ
Reporter Name

ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণের মাত্রা অত্যাধিক হারে বাড়ছে। কয়েকদিনের ব্যবধানে চোখের পলকে দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়ে গেছে! আর তাইতো এমন পরিস্থিতিতে ভারতের অধিকাংশ রাজ্য সরকার আবারো লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ফলে দেশটির অন্যান্য খাতগুলোর পাশাপাশি আবারও ক্ষতির মুখে পড়তে যাচ্ছে সিনেমা খাতটি।

করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর থেকেই ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহগুলোতে আটকে গেছে বেশকিছু বিগ বাজেটের বলিউড সিনেমার মুক্তি। অনিশ্চিত সেই পরিস্থিতির মাঝে সেসময় অধিকাংশ পরিচালক ও প্রযোজকই সিনেমা মুক্তির প্লাটফর্ম হিসেবে বেছে নিয়েছে ওটিটি প্লাটফর্মকে।

তবে অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সূর্যবংশী’, সালমান খান অভিনীত ‘রাঁধে’ এবং রণবীর সিংয়ের ‘৮৩’ এর মত সিনেমাগুলো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়ারই অপেক্ষায় ছিল তাদের পরিচালকরা।

গত বছর মুক্তির কথা ছিল অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘সূর্যবংশী’র ছবিটি। কিন্তু করোনার কারণে পুরো ভারত জুড়ে দেওয়া হলো লকডাউন। বন্ধ ঘোষণা করা হয় সকল সিনেমা হল। ফলে ছবিটি মুক্তি দিতে পারেননি এর পরিচালক-প্রযোজক। শেষমেশ এ বছরের ৩০ এপ্রিল মুক্তির তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবারও করোনার কারণে মুক্তি স্থগিত।

ভারত জুড়ে করোনার প্রকোপ হুট করে বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ রাজ্য সরকার লকডাউন দিচ্ছে, কিংবা জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এরকমই অবস্থায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) মহারাষ্ট্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিচালক রোহিত শেঠি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে রোহিতের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে রোহিত ছবিটির মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

অপরদিকে সালমানের ‘রাঁধে’ সিনেমার মুক্তির প্রসঙ্গে পরিচালক, প্রযোজক ও হল মালিকদের কয়েক দফায় আলোচনার পর অবশেষে এর মুক্তি এবছরের ঈদ উপলক্ষ্যে প্রেক্ষাগৃহেই নির্ধারিত হয়। কিন্তু অবস্থা যেদিকে যাচ্ছে, হয়তো আসছে ঈদেও এই ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিতে জটিলতা তৈরী হতে পারে। এছাড়া ‘৮৩’, ‘বেলবটম’, শমসেরা সহ আরো বেশ কিছু সিনেমার মুক্তি এখনো অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।

এদিকে সিনেমার ব্যবসায়ের দিকে থেকে ২০১৯ সালে যেখানে আয় ছিল ৪৪ হাজার কোটি রুপি সেখানে গেল বছরের তিন মাসে এর আয় ছিল মাত্র ৬০০ কোটি রুপি। অপরদিকে এ বছরের আয় এখন পর্যন্ত মাত্র ৫৫ কোটি রুপি। সেদিক থেকে চিন্তা করলে ভারতীয় প্রেক্ষাগৃহ গুলোর গেল বছর লোকসান হয়েছে ৩,৫০০-৪,০০০ কোটি রুপি। এমনটাই জানিয়েছেন ট্রেড অ্যানালাইসিস মোহন। আর এই বছর যদি করোনা মহামারীর কারণে প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ থাকে, তবে গত বছরের লোকসানকেও ছাড়িয়ে যাবে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x