হবিগঞ্জের লাখাইয়ে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে সালিশ বৈঠক থেকে আসার পথে প্রতিপক্ষ শ্যালকের হাতে আহত হয়ে চার দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুলাভাইয়ের মৃত্যু ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায় লাখাই উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের আব্দুল হাই এর সাথে জমিজমা ও অর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে শ্যালক নুর আলম ও শাহ আলমের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৩০ জুন এই বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে ধর্মপুর গ্রামের চকবাজার নামক স্থানে সালিশ বৈঠক হয়। শালিশে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা না হওয়ায় শালিশ থেকে আব্দুল হাই বাড়ী ফেরার পথে তার শালা নুর আলম ও শাহ আলম এর সাথে আব্দুল হাইয়ের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে নুর আলমের আঘাতে আব্দুল হাই গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায় সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তাররা অবস্থা গুরুতর দেখে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হলে সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় গত ৪ জুলাই রবিবার রাত ১২ টার দিকে আব্দুল হাই মৃত্যুবরন করেন। অভিযুক্ত নুর আলম ও শাহ আলম ধর্মপুর গ্রামের মৃত কালা মিয়ার পুত্র এবং তাদের নিহত দুলাভাই আব্দুল হাই একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত আরজত আলীর পুত্র।
এ ব্যাপারে নিহত আব্দুল হাইয়ের পুত্র আব্দুর রউফ জানান, জমিজমা ও টাকাপয়সা লেনদেন জনিত ব্যাপারকে কেন্দ্র করে নুর আলম ও শাহ আলমের হামলায় তার পিতা আহত হলে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। ময়নাতদন্তের পর সোমবার ৫ জুলাই নিজ এনে দাফন করা হয়েছে। এ বিষয়ে লাখাই থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন নুর আলমের আঘাতে আব্দুল হাই আহত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে তাদের কাছে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। তবে কোন মামলা দায়ের করা হয় নি। এ ব্যাপারে এ রিপোর্ট লেখা পর্যান্ত কোনো মামলা করা হয়নি,।