ঢাকা, শনিবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন
গুরুদাসপুরে কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে গরুর পরিচর্যায় ব্যস্ত খামারীরা
শরিফুল ইসলাম, গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই কোরবানী ঈদ। গুরুদাসপুর উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বসবে কোরবানী পশু কেনাবেচার হাট। তাই খামারীরা শেষ মুহুর্তে তাদের পশু মোটাজাতকরন ও পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। কিন্তু করোনা শঙ্কায় পড়েছে পশুর হাট ও কেনাবেচা নিয়ে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর তথ্যমতে জানা গেছে, করোনা শঙ্কার মধ্যেও গত বছরের তুলনায় এবছর খামারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর খামারীর সংখ্যা ছিল ২হাজার ২টি।  সেটা বেড়ে হয়েছে ২হাজার ৩০৬টি। গতবছর কোরবানী উপযুক্ত পশুর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮১হাজার ৯৪৭টি।এর মধ্যে গরু-মহিষ সংখ্যা ছিল ২৯হাজার ৮৫৮টি ও ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ছিল ৫২হাজার ৮৯টি। সেটা এবছর বেড়ে হয়েছে কোরবানী উপযুক্ত পশুর সখ্যা হয়েছে ৯৬হাজার ৮৬২টি।এর মধ্যে গরু-মহিষ সংখ্যা ৩৩হাজার ২৭৫টি ও ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ৬৩হাজার ৫৮৭টি।

উপজেলার কোরবানী পশুর খ্যাত রয়েছে দেশজুড়ে। বিভিন্ন গ্রামে ঢুকলেই প্রায় প্রতিটি বাড়িতে চোখে ছোট বড় পশুর খামার। অধিকাংশ খামারীগণ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে গরু কিনে এই সকল পশুর খামার করে থাকেন। ঈদে পশু বিক্রি করে এনজিও ঋণ ও ধারদেনা শোধ করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমন বৃদ্ধি পাওয়ায় হাজারো খামারীদের পরিবারের স্বপ্ন ভেঙ্গে যেতে বসেছে।

উপজেলার মশিন্দা ইউনিয়নের খামারী রেজাউল জানান,দশ বছর যাবত আমি কোরবানী পশু গরুর খামার করে আসছি। খামার করা আমার নেশা। ঈদে এই খামারের পশু বিক্রির আয়ে আমার সংসার চলে। কিন্তু গত বছর দেশে করোনা থাকায় খামারের সব গরু বিক্রি করতে পারি নাই। দুটো গরু রয়েই গেছে। এর সাথে চারটি গরু কিনে ছয়টি গরু নিয়ে খামার করেছি। এপযর্ন্ত খামারে গরুর লালন পালনে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩লক্ষ টাকা।

গত বছরের ন্যায় এবছরও করোনার প্রকোপ বৃদ্ধিতে পশু নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। এখন পযর্ন্ত কোন বেপারীগণ যোগাযোগ করে নাই। তাই এবছর গরু বিক্রি করতে না পারলে পরিবার নিয়ে পথে বসে যাওয়ার উপক্রম হবে।

উপজেলার খামারী শফিকুল ও আনোয়ার হোসেন জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোরবানী পশু বিক্রির সুবন্দোবস্থায় করা। পশু নিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গার হাটবাজারে যেতে রাস্তায় যেন কোন প্রকার প্রতিবন্ধিকতার যেন না হয় সেটা সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো.গোলাম মস্তফা জানান,কোরবানী পশু বিক্রিতে দুইটি অনলাইন প্লাটফার্ম চালু রাখা হয়েছে যাতে খামারীদের গরুর ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য অ্যাপলোড করা হচ্ছে। আশা করছি করোনাকালীন সময়েও খামারীদের গরু বিক্রিতে কোন প্রভাব পড়বে না।

x