ঢাকা, শনিবার ১১ মে ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
হাইকোর্টে এসেছে ১৪ জঙ্গির ডেথ রেফারেন্স
Reporter Name

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জনসভাস্থলে বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) নথি হাইকোর্টে এসেছে।

ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী বিচারিক আদালতের দেয়া কোনো মৃত্যুদণ্ডের রায় অনুমোদনের জন্য মামলার নথি ডেথ রেফারেন্স আকারে হাইকোর্টে পাঠাতে হয়। সে অনুযায়ী ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের দেয়া রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে।

২১ বছর আগের এই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান গত ২৩ মার্চ ১৪ জঙ্গিকে ‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ বা গুলি করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের রায় দেন। এই রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন: মো. আজিজুল হক ওরফে শাহনেওয়াজ, মো. লোকমান, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন ওরফে মোসাহাব মোড়ল, মোছহাব হাসান ওরফে রাশু, শেখ মো. এনামুল হক, মো. মফিজুর রহমান ওরফে মফিজ, মো. মাহমুদ আজহার ওরফে মামুনুর রশিদ, মো. রাশেদুজ্জামান শিমুল, মো. তারেক, মো. ওয়াদুদ শেখ ওরফে গাজী খান, মো. আনিসুল ইসলাম, সারোয়ার হোসেন মিয়া, আমিরুল ইসলাম ওরফে জেন্নাত মুন্সী ও রফিকুল ইসলাম খান। এদের মধ্যে শেখ এনামুল হক পলাতক। এরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) সদস্য বলে তদন্তে উঠে আসে।

২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজের প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল মাটি খুঁড়ে ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের আরেকটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় কোটালীপাড়া থানায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা, হত্যার ষড়যন্ত্র-রাষ্ট্রদ্রোহ ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি মামলা করে পুলিশ। এরমধ্যে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট বিচারিক আদালত রায় দেন। রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। এই মামলায় আপিলের রায়ও হয়েছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষিত রায়ে ১০ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন হাইকোর্ট। আর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি ও ১৪ বছর দণ্ডিত দুই আসামির সাজাও বহাল রাখা হয়েছে। ১৪ বছর দণ্ডিত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

অন্যদিকে, হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের এই মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। এরপর বিচার শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১- গত ২৩ মার্চ ১৪ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন।

};

(function(d, s, id){ var js, fjs = d.getElementsByTagName(s)[0]; if (d.getElementById(id)) {return;} js = d.createElement(s); js.id = id; js.src = "https://connect.facebook.net/en_US/sdk.js"; fjs.parentNode.insertBefore(js, fjs); }(document, 'script', 'facebook-jssdk'));

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x