কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোছাঃ সাদিয়া আক্তার টুনি (৯) কে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তার পিতা চুন্নু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে শুক্রবার রাতে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।

লাশ ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার বিকালে দাফন করা হয়েছে।পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯জনকে আটক করা হয়েছে।আটককৃতরা হচ্চেন সাব্বির(১৭), রুবেল(২২), খাইরুদ্দিন(৩০), জামাল(২৮), ফজর আলী(৪৫),কাঞ্চন(৫৫),গোলাপ(৪৫),রুবেল-২(৩০),নাঈম(১৭)। শুক্রবার সকালে টুনি তার বাবার সাথে বাড়ীর পাশে নদীতে মাছ ধরতে যায়। পরে বৃষ্টি শুরু হলে সে বাড়িতে ফিরে আসার সময় নিখোঁজ হয়। তাকে অনেক খোজাখুজির পর নদীর পাড়ে দুপুরের দিকে গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাত পা বাধা অবস্থায় নানীর বাড়ির পাশের পাট ক্ষেত এ মৃতদেহ পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্চে তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

কটিয়াদী থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন, নিহত টুনির পিতা চুন্নু মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে শুক্রবার রাতে কটিয়াদী মডেল থানায় একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৯জনকে আটক করা হয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মুজিবুর রহমান ময়নাতদন্তে অংশ নেওয়া ডাক্তারের উদ্বৃতি দিয়ে জানান.নিহত টুনিকে শ্বাসরোধ করে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে ময়নাতদন্তে আলামত পাওয়া গেছে।