ভালো নেই আমাদের পায়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জুতা মেরামতের কারিগরা।যাদের আমরা মুচি বলে জানি।গত বছর থেকে এই পর্যন্ত লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়েছে সারা বাংলাদেশের মুচি সম্প্রদায়।ঠিক তেমনি সিলেট সদর উপজেলার মুচি সম্প্রদায়(যারা জুতা সেলাই করে)। এই সময়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে উপজেলার শতাধিক মুচি পরিবার।
সিলেট শহরের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, রেলওয়ে ষ্টেশন, বন্দরবাজার,কোর্ট পয়েন্ট,জিন্দাবাজার,আম্বরখানা,মদিনা মার্কেট,আখালিয়া,সহ বিভিন্ন জায়গায় বসে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন তারা। তবে লকডাউনে কাজ না থাকায় বেশিরভাগ মুচি ঘরে বসে আছেন।ফলে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা।কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে বসলেও মিলছে না কাস্টমার।
বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্ট সহ পুরো এলাকায় অনেককেই মলিন মুখে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে তাদের কারো কাছেই মাস্ক ছাড়া করোনা ভাইরাসের অন্য কোন সুরক্ষা সরঞ্জাম দেখা যায়নি। পায়নি কোন আর্থিক সহায়তা।
বন্দরবাজার কোর্ট পয়েন্টে জুতা সেলাইয়ের কারিগর কিশোর ঋষি ও ধনঞ্জয় ঋষি এর সাথে কথা বললে তারা জানান,আয় রোজগার তেমন না থাকায় পরিবার নিয়ে দুবেলা খাওয়াটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে সেখানে কীভাবে এসব সুরক্ষা সরঞ্জাম কিনে ব্যবহার করব।আয়ের অবস্থা খুবই খারাপ।কাজ একদম কম।লকডাউনের কারণে তো আগের মতো মানুষের চলাফেরা নাই।গতকাল সারাদিনে মাত্র ১০০ টাকার কাজ করছি।আজ সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেল মাত্র ৮০ টাকার করতে পারলাম।তবে লকডাউনের আগে প্রতিদিন ৫০০/৬০০ টাকার কাজ করতে পারতাম। বর্তমানে ১৫০/ ২০০ টাকার বেশি ইনকাম হয় না।
তারা আরো বলেন,‘আমাদের বাপ দাদার এই পেশা অনেক কষ্টে ধরে রেখেছি। আমাদের পরিবারে স্ত্রী সন্তান নিয়ে এ কাজ করে সংসার চালাতেই কষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে আমাদের জীবনযাত্রা খুবই করুন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তারা আরও বলেন, দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে সরকার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যদি আমাদের প্রতি সুনজর দেন এবং সরকারি আর্থিক প্রনোদনা দেন তাহলে পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ভালভাবে বেঁচে থাকতে পারি।