ঢাকা, শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৫টি প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস
দৈনিক ডাক অনলাইন ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে কুষ্টিয়ায়। লকডাউনেও থেমে নেই মৃত্যুর মিছিল। শনিবার (০৩ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে রবিবার (০৪ জুলাই) সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর মধ্যে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনায় ১৩ জন ও উপসর্গে ছয়জন এবং কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনায় একজন ও নিজ বাড়িতে করোনায় একজন মারা গেছেন। জেলায় ২৪ ঘণ্টায় এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ সময় ৬০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

রবিবার (৪ জুলাই) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকার।

এদিকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন করোনায় আক্রান্ত একজন এবং বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন করোনা রোগী মারা গেছেন। মৃত দুজনের বাড়িই উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নে। কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আকুল উদ্দিন করোনা আক্রান্ত দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬৯ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ১৯৩ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৩৬ জন, দৌলতপুরের ৪৫ জন, কুমারখালীর ৩১ জন, ভেড়ামারার ২৭ জন, মিরপুরের ২৩ জন এবং খোকসার ৩১ জন রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত জেলায় ৬৪ হাজার ৫৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেছে ৬১ হাজার ৯৯৪ জনের। বাকিরা নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৭৬২ জন।

বর্তমানে কুষ্টিয়ায় সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৩ জন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ২ হাজার ২২৮ জন।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে বর্তমানে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হচ্ছে। সব উপজেলায় হু হু করে বাড়ছে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা। লকডাউনের মধ্যেও কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে রাস্তাঘাটে চলাচল করছে। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। ফলে লকডাউনের সুফল মিলবে না। জনসাধারণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলার প্রবণতার কারণে সংক্রমণ আরো বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। করোনার সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া বেশ কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

6 responses to “কুষ্টিয়ায় একদিনে আরও ১৫টি প্রাণ কেড়ে নিল করোনাভাইরাস”

  1. … [Trackback]

    […] Information to that Topic: doinikdak.com/news/32193 […]

  2. 뉴토끼 says:

    … [Trackback]

    […] Find More on that Topic: doinikdak.com/news/32193 […]

  3. Stunning story there. What happened after? Good luck!

  4. Your method of explaining all in this piece of writing is
    actually nice, all be able to simply understand it,
    Thanks a lot.

  5. Good way of telling, and nice post to get facts regarding my presentation topic, which i am going to convey in institution of higher education.

  6. Hmm is anyone else experiencing problems with the images on this blog loading?

    I’m trying to figure out if its a problem on my end or if it’s the blog.
    Any suggestions would be greatly appreciated.

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x