রাজধানী ঢাকার পর লকডাউনের মধ্যে মার্কেট খোলার দাবিতে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার মার্কেট বন্ধের পাশপাশি বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে। গতকাল সোমবার থেকে সেই লকডাউন শুরু হয়েছে।
দ্বিতীয় দিনে দেখে গেছে, দেশের কোথাও কোথাও ঢিলেঢালাভাবে লকডাউন পালন করা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও অবাধে সবাই বের হচ্ছে ঘর থেকে।
ঝিনাইদহ
লকডাউনের প্রতিবাদে ও দোকান খোলা রাখার দাবিতে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে ব্যবসায়ীরারা। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ব্যবসায়ীরা শহরের চৌরাস্তা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। সে সময় শৈলকুপা শহরে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা লিজা ঘটনাস্থলে এসে ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করলে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে লকডাউনের প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও কর্মচারীরা। বেলা ১১টায় শহরের পুরান বাজার থেকে শুরু করে সদর রোড হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পৌর নিউ মার্কেট চত্বরে গিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল শেষ করেন। এর আগে বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ বাধা দিলেও তা প্রতিরোধে ব্যর্থ হন।
কর্মসূচি শেষে সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আকতার মোর্শেদ ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আহবান জানান এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে যেন রাজাকার প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলে মার্কেট ও শপিংমল খোলা রাখার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের সমবায় সুপার মার্কেটের সামনে বিক্ষোভ করে ব্যবসায়ীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্সের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ না করার অনুরোধ করেন।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ গেল বছরের করোনার লস এখনো কাটিয়ে উঠা যায়নি। এ বছরও যদি বৈশাখ ও ঈদের ব্যবসা না করতে পারেন তাহলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে মৃত্যু ছাড়া উপায় থাকবে না। অনেকেই ঋণ, ধারদেনা করে টাকা এনে দোকানের মালামাল কিনেছেন। সেগুলো বিক্রি না হলে ঋণ পরিশোধ করাও সম্ভব হবে না।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে ব্যবসায়ীরা জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনার জন্য যান।
মাদারীপুর
লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে দেখা মাদারীপুরের সাধারণ মানুষের মধ্যে লকডাউন মানার তেমন কোন আগ্রহ নেই। স্বাভাবিকের মতো কাজকর্ম ও চলাফেরা করছে মানুষ। যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও অন্যান্য যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে। লকডাউন মানাতে মাঠে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তেমন কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। তবে বিভিন্নস্থানে জনগণকে সচেতন করতে মাইকিং করতে দেখা গেছে।
এছাড়া, শহরের ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে লকডাউনের প্রতি বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। নিউজ সোর্সঃ মার্কেট খোলার দাবিতে জেলায় জেলায় বিক্ষােভ
Leave a Reply