ভোলায় বহুল আলোচিত ইউনাইটেড মাল্টিপারপাস কোঃ অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের নামে ১৩ হাজার সদস্যের শেয়ারের দেড়শত কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে সংস্থাটির বর্তমান সভাপতি আব্দুল খালেক ওরফে টিন খালেক সহ সংস্থার অন্য অন্য গুরুত্বপূর্ন পদে থাকা কর্মকর্তারা। গ্রাহকরা টাকা ফেরত পেতে একের পর এক মামলা করতে থাকেন। এর পরিপেক্ষিতে আদালত আসামির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয় পুলিশকে
এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার দুপুরে ভোলা সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে ৫ জন হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন বাতিল করে তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
রায়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলী হায়দার কামাল উল্লেখ করেন, বর্তমানে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। তাই এই সব আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করা হলো।
জেলে যাওয়া আসামিরা হলেন, মনজুরুল আলমের শ্বশুর, ওই সংস্থার সভাপতি আব্দুল খালেক ওরফে টিন খালেক, ভাই মনসুর আলম, অপর ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভগিণীপতি ফখরুল ইসলাম রাসেল, চাচাত ভাই খায়েদুল ইসলাম। ওই মামলায় মনজরুল আলম মনজু, তার স্ত্রী রোজিনা, পিতা ইউছুফ পলাতক রয়েছেন।
উল্লেখ্য গত ২৩ মে সৌদি প্রবাসী ওই সংস্থার গ্রাহক সদস্য দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ্য করেন, ইউনাইডেট মাল্টিপারপাস কোঃ অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সংস্থার কাছে তিনি ও তার এক আত্মীয় প্রায় ১৮ লাখ টাকা পান । কিন্তু সেই টাকা তাদেরকে বুঝিয়ে না দিয়ে, টাকা আত্মসাত করে আসামিরা গা ঢাকা দেয়।
ইউনাইডেট মাল্টিপারপাস কোঃ অপারেটিভ সোসাইটি লিঃ সংস্থার পরিচালক মাজাহারুল ইসলাম বাবুল তার দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করেন, মনজুরুল আলম ও তার আত্মীয়রা সংস্থার প্রায় শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
বাবুল জানান, সংস্থার কাছে ১৫ বছরে দেড় শত কোটি টাকা জমা হয়। সেই টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেয়া হয়। বিভিন্ন সংস্থার অবসরে যাওয়া ব্যক্তিদের এক লাখে প্রতিমাসে দুই হাজার টাকা লাভ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই সব টাকা হাতিয়ে নেন মনজুর আলম ও তার আত্মীয়রা । এক পর্যায়ে গ্রাহকদের টাকা ও লাভ দেয়া বন্ধ করে দিলে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্রতিষ্ঠান ঘেরাও করে। এমন পরিস্থিতিতে সব টাকা গুটিয়ে মনজু তার পরিবার পরিজন নিয়ে ঢাকায় গা ঢাকা দেন।