ঢাকা, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২২ পূর্বাহ্ন
মেহেরপুরে লকডাউনে কাঁচাবাজারে আগুন
জাহিদ মাহমুদঃ মেহেরপুর

করোনাভাইরাসের কারণে স্থানীয় সরকারের বেঁধে দেওয়া ১৫ দিনের লকডাউন শুরু করার পর থেকেই মেহেরপুরের কাঁচাবাজারে যেন আগুন লেগেছে।

গোল আলু ব্যতীত প্রত্যেকটি তরিতরকারির দাম বেড়ে গেছে। কাঁচাবাজারে আড়তের তুলনায় খুচরা বাজারের দামে বেশ ফারাক

ব্যবসায়ীরা বলছেন আমদানি কম, ক্রেতারা বলছেন ব্যবসায়ীদের কারসাজি। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় মেহেরপুরে চলছে ১৫ দিনের লকডাউন ।

লকডাউনে কেবলমাত্র কাঁচা বাজার এবং মুদিখানার দোকান সকাল ৬ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা কাঁচাবাজারের আলু বাদে প্রত্যেকটি তরিতরকারির দাম অনেকাংশে বৃদ্ধি করেছেন। কাঁচা তরিতরকারি কিনতে ক্রেতাসাধারণ কে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

সোমবার সকালের দিকে মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এবং হোটেল বাজার শাহ আলম পৌর মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে গোল আলু পূর্বের দর ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। গত পাঁচ দিনে অন্য সকল তরিতরকারি কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

একই সাথে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে আদা কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বেড়ে গেছে। বর্তমানে কলা ৩৫ টাকা কেজি, কচু ৪০ টাকা কেজি, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, করোল্লা ৮০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা কেজি, পটল ৩৫ টাকা কেজি, পুঁইশাক ২০ টাকা কেজি,ঢেঁড়স ৩৫ টাকা কেজি,ঝিঙে ৪০ টাকা কেজি, ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজি, সোনালী ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, দেশি মুরগির ৪০০ টাকা কেজি, ছাগলের মাংস প্রকার ভেদে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজারে মাছের আমদানি রয়েছে, তবে দাম রয়েছে নাগালের মধ্যে। এক্ষেত্রে ইলিশের দাম মেহেরপুরের রেকর্ড পরিমাণ দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে ইলিশের আমদানি কম থাকার কারণে ১ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ মাছ ১৮০০ টাকা কেজি দাম হাঁকাতে গেখা গেছে। জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে, ৫ থেকে ৬শ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম থাকা হচ্ছে ১ হাজার টাকা কেজি।  খুচরা বাজারে পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি,কাঁচা ঝাল ৩৫ টাকা কেজি, রসুন ৬০ টাকা কেজি এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি দরে।

করোনার প্রাদুর্ভাব কে কেন্দ্র করে লকডাউন এর কারণে ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে কাঁচা পণ্যের দাম ইচ্ছামত হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা দুটি কারণ উল্লেখ করেছেন। এর একটি কারণ দেখাচ্ছেন পণ্যের আমদানি কম,অপরটি যেহেতু সীমিত সময়ের জন্য ব্যবসার অনুমতি রয়েছে সে ক্ষেত্রে কাঁচামাল ও অবিক্রি থাকায় সে গুলা নষ্ট হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বাজার মনিটরিং করার জোর দাবি উঠেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x