নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে হোটেলে নিয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ জুন) সকালে পৃথক স্থান থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক ধর্ষক শরিফুল ইসলাম নূর (২৬) ও হোটেল ম্যানেজার দ্বীন মোহাম্মদ জনি (৩২)। শরিফুল ইসলাম চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের আলী আকবরের ছেলে। অন্যদিকে দ্বীন মোহাম্মদ সোনাইমুড়ী উপজেলার থানুয়াই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, রোববার (২৭ জুন) দুপুরে সোনাইমুড়ীর রওনক হোটেলে ওই ছাত্রীকে নিয়ে আসেন শরিফুল ইসলাম নুর। সেখানে হোটেল ম্যানেজার দ্বীন মোহাম্মদ জনির সহযোগিতায় ধর্ষণ করেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ছাত্রীকে রেখে তারা পালিয়ে যান।
ওসি আরও বলেন, গুরুতর আহত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনাইমুড়ী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে শরিফুল ইসলাম ও দ্বীন মোহাম্মদকে আটক করা হয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, ওই ছাত্রীর অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সে এখন পোস্ট অপারেটিভ সেন্টারে আছে।
এদিকে আহত স্কুলছাত্রীকে বাঁচাতে হাসপাতালে গিয়ে তাৎক্ষণিক রক্ত দিয়েছেন সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন। বিষয়টি জেনে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকাবাসী এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ছাত্রীর পরিবার।
স্কুলছাত্রীর মামা বলেন, সকালে স্কুলে অ্যাসাইনম্যান্ট জমা দিতে গিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি তার ভাগনি। পরে তার এক বান্ধবী তার অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি জানায়। পরে তিনি সোনাইমুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
… [Trackback]
[…] Find More to that Topic: doinikdak.com/news/30095 […]
… [Trackback]
[…] Info on that Topic: doinikdak.com/news/30095 […]