কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশের সাবেক একটি স্কুলের পাশ থেকে কয়েকশ আদিবাসী শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (২৩ জুন) দেশটির একটি আদিবাসী গোষ্ঠী এমন ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রাদেশিক রাজধানী রেজিনা থেকে ৮৭ মাইল দূরে ম্যারিফল ইন্ডিয়ান রেসিডেন্টশিয়ালর স্কুলের কাছে মরদেহগুলো পাওয়া গেছে।
এর আগে ব্রিটিশ কলোম্বিয়ায় সাবেক একটি আবাসিক স্কুল থেকে ২১৫ শিক্ষার্থীর দেহাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু বুধবার উদ্ধার হওয়া মরদেহের সংখ্যা এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের।
এসব স্কুলে সাংস্কৃতিক আত্তীকরণের নামে শিক্ষার্থীদের জোর করে তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হতো। এরপর তাদের বোর্ডিংয়ে রাখা হতো। এই চর্চাকে ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ বলে আখ্যায়িত করেছে কানাডার জাতীয় ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলেশন কমিশন।
বহু শিক্ষার্থীকে স্কুলে পাঠানোর পর তারা আর ফিরে আসেনি। তাদের ভাগ্য নিয়ে পরিবারকে অস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় সার্বভৌম আদিবাসী জাতিগুলো জানিয়েছে, সম্প্রতি কয়েকশ মরদেহ ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। তবে মরদেহের সঠিক সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি।
নতুন করে খুঁজে পাওয়া চিহ্নবিহীন এসব সমাধি এখন পর্যন্ত কানাডার ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়ার ঘটনা।
কানাডার আবাসিক স্কুল ব্যবস্থায় আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জবরদস্তিমূলক পরিবারবিচ্ছিন্ন রাখায় এই ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ সংঘটিত হয়েছে। বিলুপ্ত এই ব্যবস্থা নিয়ে ছয় বছরের একটি তদন্ত হয়েছে।
এতে জানা গেছে, শিশুদের ওপর বর্বর শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ, অপুষ্টি ও নৃশংসতা চালানো হয়েছে। স্কুলটিতে অংশ নেওয়া দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে এই বর্বরতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। ওটোয়ার পক্ষ থেকে খ্রিষ্টান গির্জা এই স্কুলটি পরিচালনা করতো।
আবাসিক স্কুলটিতে অংশ নেওয়া চার হাজার ১০০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তবে নতুন উদ্ধার হওয়া এসব মরদেহ সেই হিসাবে যোগ করা হয়নি।
… [Trackback]
[…] Find More Info here to that Topic: doinikdak.com/news/29077 […]
… [Trackback]
[…] Find More Information here to that Topic: doinikdak.com/news/29077 […]