নড়াইলে কালিয়ায় স্বামীর ষড়যন্ত্রে তার স্ত্রীকে গণধর্ষণ এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি মামলায় গ্রেপ্তারের পর আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে অভিযুক্ত ৪ জন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর অভিযুক্ত স্বামী সেনা সদস্য আতাউর রহমানকে গ্রেফতার করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করেছে পুলিশ।
পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে ঘরছাড়া করতে পাশবিক পরিকল্পনা সাজায় স্বামী আতাউর রহমান।
পুলিশ জানায়, আতাউরের পরিকল্পনা মতো গত ২১ জুন রাতে জোরপূর্বক তার স্ত্রীর ঘরে ঢোকে কালিয়া উপজেলার বিলবাউচ গ্রামের চার বখাটে। এ সময় প্রতিবেশী কিশোরের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের অপবাদ দিয়ে গৃহবধূকে মারধর শুরু করে তারা। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে।
পরদিন মঙ্গলবার (২২ জুন) সকালে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরলে স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামীকে আটক করে সেনাবাহিনীকে সোপর্দ করে পুলিশ। একই সঙ্গে ৪ বখাটেকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
নির্যাতিত গৃহবধূ বলেন, রিয়াজ, মিল্লাত, কালুসহ চারজন তাকে মারধর ও ধর্ষণ করে। একই সময় তারা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে বলে জানান নির্যাতিত গৃহবধূ।
এরই মধ্যে নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আ ফ ম মুশিউর রহমান বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আলামত পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়েছে স্বামীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিরা অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে। বাদী যাতে ন্যায় বিচার পায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নেব।
অভিযুক্ত স্বামী আতাউর রহমান যশোর সেনানিবাসে সৈনিক হিসেবে কর্মরত।