কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে কারেন রাজ্যের রাজধানী হপা আনের চারটি স্থানে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। খবর মিয়ানমার নাউ।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন দাবি করেছে, এই সংঘর্ষে সেনাবাহিনীর অন্তত আট সদস্য নিহত হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই ঘটনায় কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
খবরে বলা হয়েছে, ‘কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী ‘কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন’র সশস্ত্র বাহিনী। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সোমবার তারা কারেন ফোর্স ব্রিগেড-১ অঞ্চলের আওতাভুক্ত লে তাও গি, গুহ বি হিতি এবং মি বন ইনেতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
দুই পক্ষের মধ্যে লে তাও গি এবং মি বনে ব্যাপক লড়াই হয়। এতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষে আটজন নিহত হয়। সংঘর্ষে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কেএনইউ।
এর আগে গত ১৪ জুন, কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মির ব্রিগেড-১ হপা আনেতে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি দাবি করেছে, সেনাবাহিনীর মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড সঙ্গে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামলে এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
কেএনএলএর ব্রিগেড-৫ এর একজন কর্নেল জানিয়েছেন, কারেন রাজ্যের মুতরাও জেলায় সেনা অভ্যুত্থান হওয়ার পর থেকে অন্তত ৩৫০ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছে।
মঙ্গলবার এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেএনএলএ বাহিনী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অন্তত তিনটি ঘাঁটিতে আক্রমণ করেছে। আক্রমণের ফলে সেনাবাহিনী তিনটি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে গেছে।