একটি মামলায় সাত বছরের সাজা হয়েছিল। সেই সাজা ভোগের ভয়ে তিনি টানা ৩২ বছর পালিয়ে ছিলেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা গ্রাম থেকে গতকাল সোমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে জয়পুরহাটের কালাই থানা-পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাঁকে কারাগারে পাঠানো হবে।
ওই আসামির নাম আবদুল মতিন (৬০)। তাঁর বাড়ি কালাই উপজেলার ইটাইল গ্রামে। তিনি একটি মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি বলে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক জানিয়েছেন।
কালাই থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুন উপজেলার ইটাইল গ্রামের সাত বছরের শিশু মঞ্জুরুল হক অপহৃত হয়। এ ঘটনায় মঞ্জুরুলের বাবা ফজলুল হক বাদী হয়ে কালাই থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় আবদুল মতিন ও সাকামুদ্দিনকে আসামি করা হয়। মামলার পর মতিন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। একই বছর আদালত দুজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন। সাত বছর কারাভোগের পর সাকামুদ্দিন ছাড়া পান। তবে মতিনের কোনো হদিস পাচ্ছিল না পুলিশ। অবশেষে তিনি ধরা পড়লেন।
আবদুল মতিন বলেন, তিনি সাজা খাটার ভয়ে পালিয়ে ছিলেন। এত দিন পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে, তিনি কখনো ভাবেননি।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল মতিন সাত বছর সাজা খাটার ভয়ে ৩২ বছর পালিয়ে ছিলেন।