ঢাকা, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন
শেরপুরের সাথে যে সাত জেলার বাস চলাচল বন্ধ
অনলাইন ডেস্ক

করোনা আক্রান্তের হার উর্ধ্বমুখী হওয়ায় কয়েকটি জেলায় লকডাউনের কারণে ওইসব জেলার সঙ্গে শেরপুরে চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার (২১ জুন) মধ্যরাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহরে এ সংক্রান্ত মাইকিং করা হয়েছে।

এদিকে, লকডাউনের কারণে হঠাৎ করে শেরপুর থেকে সোমবার রাতের নাইট কোচ বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ যাত্রীরা।

সোমবার বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘২২ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে লকডাউন (বিধিনিষেধ) আরোপ করা হয়েছে। এই সাত জেলায় সব বন্ধ থাকবে। মানুষও যাতায়াত করতে পারবে না। শুধু মালবাহী ট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কিছু চলবে না। জেলাগুলো ব্লক রেইড থাকবে, কেউ ঢুকতে পারবে না।’

শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘অত্যধিক করোনা আক্রান্ত কয়েকটি জেলা থেকে শেরপুরে চলাচলকারী বাস এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। রাতেই শহরে মাইকিং করা হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরো কিছু নির্দেশনাসহ গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।’

শেরপুর কালেক্টরেটের স্থানীয় সরকার উপপরিচালক এ টি এম জিয়াউল ইসলাম ‘প্রেস শেরপুর’ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে জানান, জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থত্যাগ/ত্যাগ স্বীকার একান্তভাবে কাম্য। আমাদের সামনে রাস্তা দুটো- হয় হার্ড ইমিউনিটি অথবা ম্যাসিভ ভ্যাক্সিনেশন। চায়নায় সম্প্রতি ১০০ কোটি মানুষকে ভ্যাক্সিন দেওয়া শেষ করেছে। হার্ড ইমিউনিটির মূল্য অনেক প্রাণের বিনিময়ে দেওয়া লাগতে পারে। কাজেই রিজিওনাল লকডাউন, মাস্ক ব্যবহার, জনসমাগম এড়ানো, ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, এটাই এই মুহূর্তে বেস্ট সলুউশন।’

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ১১ জুন থেকে শেরপুর পৌর এলাকায় দুই সপ্তাহের বিশেষ বিধি-নিষেধ জারি করে জেলা প্রশাসন। এই অবস্থায়ও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার কারণে জেলায় করোনার উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ  বেড়েই চলেছে। গত মে মাসে জেলায় করোনার আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিল ৬৮ জন। অথচ জুন মাসের শুরু  থেকে ২১ জুন পর্যন্ত তিন সপ্তাহেই জেলায় ৩৭৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন তিনজন।

সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, ‘শেরপুর এখন ইয়োলো জোন থেকে করোনা সংক্রমণের অরেঞ্জ জোনে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এটা ‘রেড জোন’-এ পরিণত হতে পারে। এজন্য সবাইকে সচেতন হতে হবে, মাস্ক পড়তে হবে এবং যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

x